img

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত :  ১১:২০, ২১ মে ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য

গাজায় চলমান সামরিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি দেশটির রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে লন্ডন। মঙ্গলবার (২০ মে) হাউজ অব কমন্সে দেওয়া এক বক্তব্যে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।

তিনি জানান, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘২০৩০ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রোডম্যাপ’ অনুযায়ী দুই দেশের সহযোগিতা পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ল্যামির ভাষায়, নেতানিয়াহু সরকারের কার্যকলাপ এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে যুক্তরাজ্যকে।

গাজায় মানবিক সহায়তার ওপর আরোপিত অবরোধের বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরে ডেভিড ল্যামি বলেন, ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র দপ্তরে ডেকে জানানো হয়েছে যে, ত্রাণ সহায়তার পথ রুদ্ধ করা সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরও বলেন, গাজার পরিস্থিতি এখন ‘অন্ধকারের একটি নতুন ধাপে’ প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার মাত্র ১০টিরও কম ত্রাণবাহী ট্রাক সেখানে প্রবেশ করতে পেরেছে, যা ‘চরম লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি জানান, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাজ্য তিন ব্যক্তি ও চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

ডেভিড ল্যামি বলেন, ইসরায়েল সরকারের কাজকর্ম ও বক্তব্য তাদের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সচেষ্ট থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

ইসরায়েলের জনগণের প্রতি বার্তা দিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ তাদের সরকারের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নষ্ট করছে। অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, \'প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, এখনই অবরোধ শেষ করুন এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিন।\'

এদিকে যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তের জবাবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, বাইরের কোনো চাপ ইসরায়েলকে তার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পথ থেকে সরাতে পারবে না।

তিনি আরও দাবি করেন, ডেভিড ল্যামির বক্তব্যের আগেই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা খুব একটা অগ্রসর হয়নি। যুক্তরাজ্য যদি ‘ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব’ ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনায় অর্থনৈতিক ক্ষতির দিকে এগোয়, সেটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত—এমন মন্তব্য করেন তিনি।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর