img

আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের

প্রকাশিত :  ০৬:০৬, ২২ মে ২০২৫

আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আইসিসি সহযোগী দেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। জাকের আলীর দৃঢ়তায় দেড়শ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পেলেও বোলারদের হতচ্ছাড়া বোলিংয়ে সেটা ডিফেন্ড করতে পারেনি টাইগাররা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবেছে টাইগাররা।

এই জয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল সংযুক্ত আরব আমিরাত। সঙ্গে টেস্ট খেলুড়ে কোন দেশের বিপক্ষে প্রথমবার টি-২০ সিরিজ জিতে ইতিহাস লিখল। 

সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বাংলাদেশের রেকর্ড ২০৫ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি গড়েই বার্তা দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। আর শেষ ম্যাচে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে বিপর্যয়ে ফেলে ইতিহাস গড়ার পথ তৈরি করে তারা। 

বুধবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয়বারের মতো টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানে ৫ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার পারভেজ ইমন গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান। তিনে নামা লিটন ১০ বলে এক চার ও ছক্কায় ১৪ রান করেন। চারে নামা তাওহীদ হৃদয় ২ বলে শূন্য ও সহঅধিনায়ক শেখ মাহেদী ৯ বলে ২ রান করে ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। 

ওপেনার তামিম ১৮ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেললেও বিপদ বাড়া বৈ কমেনি। তিনি চারটি করে চার ও ছক্কার শট মেরে ফেরেন। হাল ধরতে ব্যর্থ হন শামীম পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেনরাও। স্লগার শামীম সাতে নেমে ১২ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। পরেই স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাট করা রিশাদ আউট হন শূন্য করে। 

বাংলাদেশ ৭১ রানে হারায় ৭ উইকেট। তানজিম সাকিব আউট হন দলের ৮৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ৬ রান। পরের রানগুলো এসেছে জাকের আলী ও হাসান মাহমুদের কারণে। জাকের ৩৪ বল খেলে ৪১ রানের দরকারি ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি ছক্কা ও একটি চারের শট আসে। পেসার হাসান ১৫ বলে তিন ছক্কায় ২৬ রান করেন। ৭ বলে ১৭ রান করেন শেষ ব্যাটার শরিফুল।

শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশ ৫৩ রান তুলেছে। এর মধ্যে আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসেমের করা শেষ ওভার থেকে তুলে নেয় ২৬ রান।

বাংলাদেশের রান লড়াই করার মতো হলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, তা প্রমাণ করেছে স্বাগতিক আরব আমিরাত। ১৪ রানে তারা প্রথম উইকেট হারায়। ওপেনার ও অধিনায়ক ওয়াসেম ফিরে যান। ১০.৪ ওভারে ৭৯ রানে চতুর্থ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে বাকি রান নির্বিঘ্নে তুলে ফেলেন আলিশান শারাফু ও আসিফ খান। এর মধ্যে আলিশান ৪৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। আসিফ ২৬ বলে পাঁচ ছক্কায় ৪১ রান যোগ করেন।

বাংলাদেশের টি-২০ বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে খেলা শেখ মেহেদী প্রথম ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও হতাশ করেছেন। তিনি শারজাহর ধীর ও নিচু উইকেটে নতুন বল হাতে নিয়ে ব্রে থ্রু তো দিতেই পারেননি বরং ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়েছেন। 

তানজিম সাকিব দ্বিতীয় ম্যাচের মতো সিরিজ হারের ম্যাচেও বাজে বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া এই ক্রিকেটার না বোলারের ভূমিকা পালন করেছেন, না ব্যাটারের। অথচ তিনি খেলেন অলরাউন্ডার কোটায়। হাসান মাহমুদ ৩.১ ওভারে দেন ৩৩ রান। ভালো বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। 

রিশাদ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে একটি ব্রেক থ্রু দিয়েছিলেন।

আইসিসির কোনো পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় আমিরাতের। আর লিটন কুমার দাসের অধিনায়কত্ব শুরু হলো আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের লজ্জা দিয়ে।



img

বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ শ্রীলংকায়

প্রকাশিত :  ০৯:২৫, ১৬ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫০, ১৬ জুন ২০২৫

গোঁ ধরে আছে ভারত। পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায় না তারা। রোহিত শর্মাদের বোর্ডের আবেদনে হাইব্রিড মডেলে বসে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ। এ বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পাকিস্তান যায়নি ভারত, খেলেছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তার আগে আইসিসির মধ্যস্থতায় চুক্তি হয়—তিন বছর পর্যন্ত দুদলের কেউ কারও দেশে গিয়ে খেলবে না। তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানও ভারত যাবে না।

এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত আয়োজন করতে যাচ্ছে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পেহেলগাঁওয়ে হামলা, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় আসরটি গড়ানো নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই অচলাবস্থা কেটে গেছে। পাকিস্তান ওই আসরে দল পাঠাচ্ছে, তবে ভারতে খেলবে না। ভারতের একাধিক গণমাধ্যম বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করেছে। সূচি অনুযায়ী, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ অক্টোবর ম্যাচ খেলবে ভারত। ভেন্যু শ্রীলংকার কলম্বো।

ভারত ও শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে মোট পাঁচটি শহরে আয়োজিত হবে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ। ৮ দলের টুর্নামেন্টটি বসবে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, বিশাখাপত্তনম, ইন্দোর এবং শ্রীলংকার কলম্বোয়। পাকিস্তান তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলংকায়। ফাইনাল বা সেমিতে উঠলেও দেশটির মেয়েরা লঙ্কাতেই লড়বে বিশ্বকাপ।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে নারী বিশ্বকাপ শেষ হবে ২ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত মুখোমুখি হবে শ্রীলংকার। রাউন্ড-রবিন পদ্ধতির লিগ পর্বে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ৫ অক্টোবর। গ্রুপ পর্ব শেষে প্রথম সেমিফাইনাল হবে ভারতের গুয়াহাটি। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হবে ব্যাঙ্গালুরুতে। তবে পাকিস্তান কোয়ালিফাই করলে তখন খেলা হবে কলম্বোয়।