img

শ্রীমঙ্গলে দুদিনে দুটি অজগর সাপ ও দুটি শঙ্খচিল পাখি উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৪ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:২৮, ২৪ মে ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে দুদিনে দুটি অজগর সাপ ও দুটি শঙ্খচিল পাখি উদ্ধার

সংগ্রাম দত্ত: দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত ও পাহাড় বনাঞ্চলে ঘেরা মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানায় বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন বিগত দুদিনের পৃথক তিনটি স্থান থেকে দুটি অজগর সাপ ও দুটি শঙ্খচিল উদ্ধার করেছে।

গত ২৪ মে সকাল ৮ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গল থানার ভাড়াউড়া চা বাগানের পিটার বাবু শামীম আহমেদ -এর বাসায় তাঁর স্ত্রী রান্নাঘরে রান্না করার সময় হ রান্না ঘরের সিলিং এর উপর একটি অজগর সাপ দেখতে পান । সাপটি দেখে ভয় পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। আতঙ্কিত হয়ে  বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন এর পরিচালক স্বপন কুমার দেব সজলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অজগর সাপটিকে উদ্ধার করেন।

গত ১৭ই মে সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গল থানার  হাইল হাওরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে শিপু মিয়া নামক একব্যক্তি বের হয়েছিলেন। তিনি হাইল হাওরে রিং জাল পেতে জাল তোলার সময় জালের ভেতরে একটি অজগর সাপ দেখতে পান। আতঙ্কিত হয়ে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

এছাড়াও গতকাল ১৭ মে শ্রীমঙ্গল থানার উত্তরসুর গ্রামে দুপুরে ঝড়ের কারণে হঠাৎ দুটি শঙ্খচিল পাখি গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এলাকাবাসী পাখি দুটি দেখতে পেয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে ফোনে অবগত করলে সেবা ফাউন্ডেশনের  পরিচালক স্বপন দেব সজল এবং পরিবেশ কর্মী রাজদীপ দেব দীপ পাখিগুলোকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। 

পরবর্তীতে দুটি অজগর সাপ ও সংকোচীল পাখি দুটিকে স্থানীয় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য যে, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে ভানুগাছ পাহাড় যা' বর্তমানে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হিসেবে দেশ-বিদেশে সকলের কাছে পরিচিত এই বনাঞ্চলটি এক শ্রেণীর প্রভাবশালী গোষ্ঠী বনের জায়গা জমি দখল করে বসতবাড়ি, রিসোর্ট ও চা বাগান তৈরি ও বনাঞ্চল উজাড় করার কারণে পশু পাখির খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার কারণে সাপ ও বন্য পশুপাখি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসে। বন্য জীবজন্তু প্রায় ধরা পড়া ও অনেক সময় গাড়ি নিচে পিষ্ট হয়েও মারা যাওয়ার খবর শোনা যায়।


সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

মসজিদে ঢুকে নামাজরত ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, বড় ভাই আটক

প্রকাশিত :  ১৪:৫২, ১৭ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে জায়গা সংক্রান্ত জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই মজিবুর রহমান (৬০) খুন হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার চরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

তবে ইতোমধ্যে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বড় ভাই লুৎফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। নিহত ও ঘাতক তারা দু’জনই চরগাঁও গ্রামের কামরু মুন্সির ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান ও মজিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। তার জের ধরে বুধবার বাড়ির পাশের মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান মজিবুর রহমান। তখন বড় ভাই লুৎফুর রহমান মসজিদে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আঘাত করলে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ বড় ভাইকে আটক করে। তবে মরদেহ এখন সিলেটে রয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর