img

ঈদের আগেই সব দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ

প্রকাশিত :  ০৬:৩৪, ২৬ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৪৩, ২৬ মে ২০২৫

ঈদের আগেই সব দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দূরপাল্লার বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বাসে ডাকাতি, ছিনতাই ও নারী যাত্রীদের হয়রানি ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৫ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ নির্দেশনা দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আয়োজনে সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা অংশ নেন।

এছাড়া গত শনিবার এ বিষয়ে বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা পর্যায়ের মালিক সমিতির শাখা কমিটিগুলোকে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি। এর আগে ডাকাতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৮ এপ্রিল মালিক সমিতিকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলমের সই করা এ–সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ দূরপাল্লার বাসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীরা প্রায়ই ডাকাতি-ছিনতাই এবং নারী যাত্রীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্ছনা/হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া বেশি গতিতে বাস চালানোর কারণে সড়ক দুর্ঘটনাও ঘটছে।

এ বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ, তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে বন্ধ করা দরকার। এ জন্য প্রতিটি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এমতাবস্থায় দূরপাল্লার পথে চলাচলকারী প্রতিটি কোম্পানি ও সমিতির বাসে আগামী ১ জুনের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। এই নির্দেশনা কেউ যথাযথভাবে পালন না করলে সংশ্লিষ্ট বাসের মালিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিসি ক্যামেরা এবং বাসের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যন্ত্র (স্পিড গভর্নর) ছাড়া বাস চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় সিরিয়াল না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি।

এর আগে ২০ মে অন্য এক চিঠিতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানায়, সম্প্রতি দূরপাল্লা রুটে দুর্ঘটনার হার অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এমতাবস্থায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীদের বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে ট্রাফিক আইন মেনে বাস চালাতে হবে। অতিরিক্ত গতিতে বাস চালানো যাবে না। বেপরোয়াভাবে পাল্লা দিয়ে বাস চালানো বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ ও আলোচনা সভা করার জন্য কোম্পানি ও স্থানীয় মালিক সমিতিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মালিক সমিতির মহাসচিব সাইফুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং সঠিকভাবে লাগানোর বিষয়ে তদারক করা হচ্ছে।

 তিনি বলেন, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাস ছাড়ার সময় যাত্রীদের অনুমতি নিয়ে একটা ছবি তোলা এবং তা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীবেশে কোনো ডাকাত বা দুষ্কৃতকারী উঠলে তাদের আইনের আওতায় আনা সহজ হবে।


 


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

এআইয়ের কারণে ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে মাইক্রোসফট

প্রকাশিত :  ১৩:২৯, ১২ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৩৬, ১২ জুলাই ২০২৫

মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের ধারায় এবার নতুন করে ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে । প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে ব্যবসায় আরও কার্যকরভাবে একীভূত করতে এবং সংগঠনকে আরও দক্ষ ও খরচ-সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাঁটাইটি মাইক্রোসফটের বৈশ্বিক কর্মীবলের প্রায় ৪ শতাংশকে প্রভাবিত করবে। খবর রয়টার্সের।

মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, 'বাজার ও প্রযুক্তিগত পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে আমাদের কোম্পানি ও বিভিন্ন টিমে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যাতে আমরা আগামী দিনের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে পারি।'

২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, মাইক্রোসফটের বৈশ্বিক কর্মীসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার। সেখান থেকেই এই বড় পরিসরের ছাঁটাই কার্যকর হচ্ছে। এর আগে ২০২৫ সালের মে মাসেও প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল।

এই ছাঁটাইয়ের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করেছে ব্যবস্থাপনার স্তর হ্রাস এবং এআই প্রযুক্তিকে বিভিন্ন পণ্যে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। মাইক্রোসফট বলছে, তারা এমন একটি কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে চায় যেখানে কর্মীরা এআই-এর সহায়তায় আরও সৃজনশীল ও ফলপ্রসূ কাজ করতে পারবেন।

প্রযুক্তি খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, ওপেনএআই-এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাইক্রোসফট ব্যাপকভাবে এআই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এতে অবকাঠামোগত খরচও বেড়েছে। এই ব্যয় সামলাতে এবং ভবিষ্যতের জন্য সংগঠনকে প্রস্তুত রাখতে কর্মীসংখ্যা কমানোর পথ নিয়েছে তারা।

মাইক্রোসফট আশ্বাস দিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জন্য সেভারেন্স প্যাকেজ, স্বাস্থ্যবীমা এবং পুনরায় কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু মাইক্রোসফটের একক সিদ্ধান্ত নয়, বরং বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতের বড় পরিবর্তনের অংশ। এআই, অটোমেশন এবং খরচ নিয়ন্ত্রণকে সামনে রেখেই গুগল, মেটা এবং অ্যামাজনের মতো অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টও ইতিমধ্যে একই ধরনের ছাঁটাই ও পুনর্গঠনের পথে এগিয়েছে। এই ধারা ভবিষ্যতে আরও তীব্র হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।