img

বিদেশে ছুটিতে গিয়ে ব্রিটিশ নারীর মৃত্যু, ময়নাতদন্তে উধাও হৃৎপিণ্ড

প্রকাশিত :  ১০:৫১, ২৬ মে ২০২৫

বিদেশে ছুটিতে গিয়ে ব্রিটিশ নারীর মৃত্যু, ময়নাতদন্তে উধাও হৃৎপিণ্ড

তুরস্কে ছুটি কাটাতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে বেথ মার্টিন নামে এক ব্রিটিশ নারীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ময়নাতদন্তে তার দেহ থেকে হৃৎপিণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় তুর্কি হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ।

আজ সোমবার (২৬ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোর্টসমাউথের বাসিন্দা বেথ মার্টিন তার স্বামী লুক মার্টিন এবং দুই সন্তান এলুয়িস (৮) ও টমি (৫)-কে নিয়ে ২৭ এপ্রিল ছুটি কাটাতে তুরস্ক যান। তবে বিমানে উঠেই তার শরীরে অসুস্থতা দেখা দেয়। বিষয়টি প্রথমে খাবারের বিষক্রিয়া (ফুড পয়জনিং) মনে করা হয়।

তুরস্কে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৮ এপ্রিল ইস্তানবুলের মারমারা ইউনিভার্সিটি পেনডিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তুর্কি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বহু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে বিস্তারিত কারণ জানানো হয়নি।

তবে মৃত্যুর পর ব্রিটেনে তার দেহ পাঠানো হলে ব্রিটিশ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্তে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ওই নারীর শরীরে কোনো হৃৎপিণ্ড নেই।

স্বামী লুক মার্টিন অভিযোগ করেন, তুর্কি কর্তৃপক্ষ তাকে প্রথমে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে নিয়ে হাসপাতালে ভ্যানে বসিয়ে সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে জেরা করে। তিনি বলেন, আমাকে জেরা করা হয়, দোষী মনে করে বারবার চাপ দেওয়া হয়—যেন আমি ওকে বিষ খাইয়ে মেরেছি।

পরিবারের দাবি, বেথ মার্টিনকে অ্যালার্জি থাকা সত্ত্বেও হয়তো পেনিসিলিন দেওয়া হয়েছিল, যার প্রতিক্রিয়ায় তার দেহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর আগে তাকে জোর করে চেপে ধরে, অপ্রয়োজনীয়ভাবে শরীরে সূচ ও যন্ত্র প্রয়োগ করে।

তুর্কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছে, মৃত্যুর সময় কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি এবং তারা হৃৎপিণ্ড অপসারণের দাবি অস্বীকার করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনা এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনার পূর্ণ সত্য উদঘাটনে সময় লাগবে। ব্রিটিশ কোরোনাররা জানিয়েছেন, সব রিপোর্ট ও ফরেনসিক বিশ্লেষণ শেষ হতে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর