img

খাগড়াছড়ি ও কমলগঞ্জে ৪০ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

প্রকাশিত :  ১২:৪০, ২৬ মে ২০২৫

খাগড়াছড়ি ও কমলগঞ্জে ৪০ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ

বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় মানুষজন ঠেলে দিচ্ছে ভারত। আজ খাগড়াছড়ি ও কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে  ৪০ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ।

আজ সোমবার (২৬ মে) ভোরের দিকে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, ভোরে তাদেরকে ফেনী নদী দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয় বিএসএফ। আসালং রোড এলাকায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসার সময় তাদেরকে আটক করে বিজিবি টহল টিম। 

এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু রয়েছে। 

যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়নের টহল কমান্ডার হাবিলদার এজাজুলের নেতৃত্বের টহল টিম তাদেরকে আটক করে। আটকদের আসালং ডিপিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

জানা গেছে, তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। তারা কাজের সন্ধানে ভারতের হরিয়ানা গিয়েছিল। এ নিয়ে চলতি মাসে তিনদফায় খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১০৪ জনকে পাঠিয়েছে বিএসএফ।

এদিকে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে আরো ২১ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। সোমবার ভোরে কুরমা চা বাগান সংলগ্ন মতেরবল সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করলে তারা বিজিবির হাতে আটক হয়। 

আটককৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু রয়েছে।

আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কমলগঞ্জ থানায হস্তান্তর করা হবে বলে জানান, শ্রীমঙ্গলস্থ ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এস এম জাকারিয়া।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

মসজিদে ঢুকে নামাজরত ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, বড় ভাই আটক

প্রকাশিত :  ১৪:৫২, ১৭ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে জায়গা সংক্রান্ত জের ধরে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই মজিবুর রহমান (৬০) খুন হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার চরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

তবে ইতোমধ্যে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বড় ভাই লুৎফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। নিহত ও ঘাতক তারা দু’জনই চরগাঁও গ্রামের কামরু মুন্সির ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা লুৎফুর রহমান ও মজিবুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। তার জের ধরে বুধবার বাড়ির পাশের মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান মজিবুর রহমান। তখন বড় ভাই লুৎফুর রহমান মসজিদে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই মজিবুর রহমানকে আঘাত করলে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে তাকে বিশ্বম্ভরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ বড় ভাইকে আটক করে। তবে মরদেহ এখন সিলেটে রয়েছে।

সিলেটের খবর এর আরও খবর