img

বাংলাদেশে পবিত্র জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ৭ জুন

প্রকাশিত :  ১৪:৪৪, ২৮ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:৪৪, ২৮ মে ২০২৫

বাংলাদেশে পবিত্র জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ৭ জুন

দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৭ জুন সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।

বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৬ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ৭ জুন (১০ জিলহজ) শনিবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে পশু কুরবানি করেন। 

এর আগে মঙ্গলবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আগামী ৬ জুন সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের ওই ঘোষণায় বলা হয়, সৌদির আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৬ জুন সৌদিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে। আর ৫ জুন পবিত্র আরাফাত দিবস।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্ধারিত ছুটি ছিল ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত (৬ দিন)। তবে দুই দিন অফিস করার শর্তে টানা ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

সাপ্তাহিক ছুটির আগে ১১ ও ১২ জুন ছুটি ঘোষণা করে, এর বিনিময়ে দুই শনিবার ১৭ ও ২৪ মে সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত অফিস খোলা রাখা হয়। এর ফলে ১১ ও ১২ জুনের ছুটি এবং পরবর্তী দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ১০ দিনের টানা ছুটি পাবেন কর্মজীবীরা।


img

তাজিয়া মিছিল শুরু, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল শুরু করেছে । আজ রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার পর পুরান ঢাকার হোসেনী দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, লালবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ঘুরে, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে ধানমন্ডিতে শেষ হবে।

ভোর থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারও মুসলিম জড়ো হতে থাকেন। এ সময় শোকের মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য পরনে কালো পোশাক, মাথায় কালো পট্টি, কারও হাতে আবার ঝালর দেওয়া লাল-কালো ও সোনালি রংঙের ঝান্ডা দেখা যায়। তাজিয়া মিছিলে কারবালার স্মরণে কালো মখমলের চাঁদোয়ার নিচে কয়েকজন বহন করেন ইমাম হোসাইনের (রা.) প্রতীকী কফিন। মিছিলের সামনে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের দুটি প্রতীকী ঘোড়াও।

পবিত্র আশুরায় তাজিয়া মিছিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী পুরান ঢাকার লালবাগের হোসেনী দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়ার আশপাশের শিয়া সম্প্রদায়কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে।

একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি ও পটকা বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।