img

ক্ষোভে ট্রাম্প প্রশাসন ছাড়লেন ইলন মাস্ক

প্রকাশিত :  ০৫:৩১, ২৯ মে ২০২৫

ক্ষোভে ট্রাম্প প্রশাসন ছাড়লেন ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। মূলত প্রকাশ্যে ট্রাম্পের নতুন বাজেট বিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার পরই তার পদত্যাগের বিষয়টি সামনে এলো।

বুধবার রাতে একজন হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান। 

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, মাস্ক প্রশাসন ছেড়ে দিচ্ছেন এবং তার ‘অফ-বোর্ডিং’ প্রক্রিয়া বুধবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে।

ইলন মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের’ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যার মাধ্যমে তিনি বেশ কয়েকটি ফেডারেল সংস্থার কাঠামো পাল্টে দেন, তবে যে প্রশাসনিক সাশ্রয়ের লক্ষ্য তিনি চেয়েছিলেন, তা অর্জন করতে ব্যর্থ হন।

এর আগে বুধবার, মাস্ক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান, কারণ সরকারের ‘দক্ষতা বিভাগে’ বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার কাজের সময়সীমা শেষ হতে চলেছে। 

মাস্কের এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত হঠাৎ এবং আনুষ্ঠানিকতাহীন। সূত্র জানায়, মাস্ক ট্রাম্পের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা না করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ‘উচ্চপর্যায়ের স্টাফ স্তরে।’

তার বিদায়ের নির্দিষ্ট কারণ স্পষ্ট না হলেও, তিনি বিদায়ের একদিন আগেই ট্রাম্পের প্রধান কর সংস্কার বিলের সমালোচনা করেন, যেটিকে তিনি অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে আখ্যায়িত করেন।

গত কয়েক সপ্তাহে মাস্ক কিছু মন্ত্রিপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি তিনি হোয়াইট হাউজের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোকে প্রকাশ্যে ‘মূর্খ’ বলে আখ্যা দেন, কারণ নাভারো মাস্কের যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে ‘শূন্য শুল্ক’ নীতির প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছিলেন।

এদিকে মাস্কের এই পদত্যাগ এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন তিনি প্রকাশ্যেই ট্রাম্পের “বিগ, বিউটিফুল বিল” নামের নতুন বাজেট বিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মাস্ক বলেন, “এই খরচবহুল বিল দেখে আমি হতাশ। এতে ঘাটতি কমানোর বদলে বরং বাড়ানো হয়েছে। যা ডিওজিই টিমের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”

ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের নিয়োগ ছিল ১৩০ দিনের জন্য, যা আগামী ৩০ মে নাগাদ শেষ হওয়ার কথা। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর

img

২০২০ সালেই মারা গেছেন বাইডেন, এখন দেখছেন ক্লোন রোবট: ডোনাল্ড ট্রাম্প

প্রকাশিত :  ০৯:২৪, ০২ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৮, ০২ জুন ২০২৫

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শনিবার (৩১ মে) একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মৃত্যু ২০২০ সালেই কার্যকর হয়েছে এবং তাকে রোবোটিক ক্লোনে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। 

তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস ট্রাম্পের শেয়ার করা এই পোস্টকে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে। এনবিসি নিউজ বলছে, ট্রাম্প তার প্রায় ১০ মিলিয়ন অনুসারীর সঙ্গে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে কোনও ব্যাখ্যা বা সূত্র নেই।  

ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, কোনও জো বাইডেন নেই—২০২০ সালেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এখন আপনারা যা দেখছেন- বাইডেনের ক্লোন, ডাবল এবং রোবোটিকভাবে তৈরি আত্মাহীন ও মস্তিষ্কহীন রোবট সত্তা। ডেমোক্র্যাটরা পার্থক্য জানে না।

ট্রাম্প পোস্টট্রাম্পের শেয়ার করা পোস্ট

এএনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প যে অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট শেয়ার করেছেন তাতে পাঁচ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে।

বাইডেন বেঁচে নেই, তার মৃত্যু হয়েছে- ট্রাম্পের এমন পোস্ট নিয়ে হোয়াইট হাউজের কাছে জানতে চাইলে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। 

এদিকে গত মাসে বাইডেনের কার্যালয় থেকে জানানো হয় যে সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সার বাইডেনের শরীরের হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিবিসি জানায়, গত ১৬ মে ৮২ বছর বয়সী বাইডেনের শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়। তিনি প্রস্রাব জনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর