img

৪ দফা দাবিতে তথ্যআপাঃ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর জনবলের আমরণ অনশন কর্মসূচি

প্রকাশিত :  ১০:৫৩, ৩১ মে ২০২৫

৪ দফা দাবিতে তথ্যআপাঃ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর জনবলের আমরণ অনশন কর্মসূচি

তথ্যআপাঃ প্রকল্প (২য় পর্যায়ে) এ কর্মরতদের রাজস্বখাতে হস্তান্তরসহ ৪ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে \"তথ্যআপাঃ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর জনবল\"। 

আজ শনিবার (৩১মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানাবৃষ্টি উপেক্ষা করে  আমরণ অনশনের ৩য় দিন অতিবাহিত করছে  তারা।

ভুক্তভুগীরা বলেন, আমরা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) যা সারাদেশে তথ্য আপা নামে পরিচিত তার সকল জনবলের পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়েছি আমাদের কিছু দাবী নিয়ে।

আমরা মাঠ পর্যায়ে বিগত প্রায় ৭ বছরেরও অধিক সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি আর ১ মাস পরে আমাদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এই ১৫০০ নারী এক যোগে বেকার হয়ে পরবে। যারা নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে এই প্রকল্পের অর্জন ৯০% করেছে তারাই আজকে ক্ষমতাহীন হওয়ার পথে। জুনের পর থেকে এই ২০০০ জনবল এবং তাদের পরিবার এক অসহনীয় দুর্দশায় পতিত হতে যাচ্ছে।

 আমাদের নিয়োগ পদ্ধতি: আমরা উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৩ ধাপে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছিলাম ২৭ নভেম্বর ২০১৮। ২ ডিসেম্বর আমরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করি। আমরা ৪৯২ টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে ১ জন করে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ ম গ্রেড), ২ জন তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড) ও ১ জন অফিস সহায়ক (২০ তম গ্রেড) মোট ১৯৬৮ জন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত আছি।

আমাদের কার্যক্রম: মাঠ পর্যায়ে আমরা তৃণমূল নারীদের দোড়গোড়ায় ৮ টি বিষয়ে সেবা প্রদান করি। সেগুলো হচ্ছে- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার সিকিউরিটি এই ৮ টি সেক্টরে জরুরি তথ্য সরবরাহ ও সহায়তা প্রদান করে থাকি। আমাদের প্রতি মাসে প্রতি উপজেলায় মোট ৯৫০ জন নারীকে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে। এর মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় সেবা হচ্ছে উঠান বৈঠক এবং ই-কমার্স উদ্যোক্তা তৈরি। আমরা জানি সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ, বিভিন্ন সেবা এবং আইন গ্রহণ করে থাকে। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে প্রান্তিক নারীদের জানানো এবং সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

নিয়োগপত্র অনুযায়ী বেতন না দিয়ে বেতন কমিয়ে দেয় সাবেক পিডি মিনা পারভীন। (বেতন কমানোর সাপেক্ষে কোনো লিখিত চিঠি প্রদান করা হয়নি।) আমাদের ১৬ গ্রেডের তথ্যসেবা সহকারীদের বেতন ২০ গ্রেডের অফিস সহায়ক এর থেকে কম প্রাপ্ত হয় যেটা চরম বৈষম্য এবং অসম্মানজনক।

 রাজস্বের আশ্বাস দিয়েও কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

মন্ত্রণালয় নিজেদের সুবিধার্থে ১ম ডিপিপি যেখানে প্রকল্প শেষে জনবলের রাজস্বখাতে স্থানান্তরের বিষয়টি উল্লেখ করা ছিলো সেটি তৎকালীন পিডি জনাব মিনা পারভীন স্যার পরিবর্তন করেন।২ বার অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে পদ সৃজনের চিঠি চাওয়ার পরও পিডি স্যার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্লেখ্য যে, প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি নারীকে সেবা প্রদান করা হলেই পদ সৃজনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিলো।প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা ১০০% অর্জিত হয়েছে, প্রকল্পের সফলতার হার ৯০%+ এরপরও আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পদ সৃজনের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির চিঠি না পাওয়ায় এবং রাজস্বকরণের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচির প্রেক্ষিতে তৎকালীন সচিব নাজমা মোবাকর স্যার পিডি স্যারকে পদ সৃজনের চিঠি লেখার কথা বলেন এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান আমাদের পরীক্ষামূলক ১ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে যেহেতু আমরা জনগনের দোরগোড়ায় যাই এবং পরবর্তীতে ১ বছর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য আমাদের রাজনৈতিক ট্যাগ দেয়া হয়।এছাড়াও ২২ ফেব্রুয়ারি মহিলা বিষয়কের উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে আলোচনান্তে স্যারকে আমরা ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল অডিটের কথা বলি। স্যারও অডিটের বিষয়ে সহমত পোষণ করেন কিন্তু এখন পর্যন্ত অডিটের কোনো ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা এটা আমাদের জানা নেই বা আমাদের জানানো হয়নি। বিগত কয়েক মাসে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে আমাদের পদ সৃজন করে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে চিঠি প্রদান করলেও কোনো লাভ হয়নি।

আমাদের প্রধান কার্যালয়ের দুর্নীতির প্রমাণকসহ (যেমন- নাইটগার্ড এর নিয়োগ না হওয়া স্বত্তেও নাইটগার্ড এর বেতন দুই অর্থবছর উত্তোলন করা হয়েছে বর্তমান সরকার আসার পর এই অর্থবছর নাইটগার্ড-ৈএর বেতন উত্তোলন করা হয় নাই) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন দুদক এবং কয়েকটি মন্ত্রণালেয়ের উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে আমাদের নজরে আসেনি।এখানে একটা বিষয় আমাদের জানিয়ে রাখা দরকার যে, ২২ ফেব্রুয়ারি আমরা যে ৬৪ জন উপস্থিত ছিলাম বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যারা সম্মুখ সারিতে থেকে বিভিন্ন বৈষম্যের কথা বলেছে পরবর্তীতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ই-কমার্স বিষয়ক সেমিনার গুলোতে তাদেরকে রাখা হয়নি। এতে করে সেসব কর্মকর্তা ও সহকারীদের সাথে সাথে ঐ উপজেলার নারী উদ্যোক্তারাও উক্ত সেমিনার থেকে বঞ্চিত হন। যাদের সাথে এটি করা হয়েছে স্পষ্টতই এটি তাদের সাথে উদ্দেশ্যমূলক বৈষম্য করা হয়েছিলো। সুতরাং আজকে আমরা যারা এখানে আছি, বিভিন্ন বৈষম্যের কথা প্রকাশ্যে এনেছি এরপর তাদের সাথেও বিভিন্ন বিধিবিধানের কথা বলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

দাবিসমুহ:

১। আমাদের প্রকল্পে কর্মরত সকল জনবলকে সমগ্রেডে পদসৃজনপূর্বক রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।

২। যেহেতু রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য সময়ের প্রয়োজন তাই প্রয়োজনীয় সময় ৩-৫ বছর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা।

৩।পদসৃজন করে রাজস্বখাতে স্থানান্তর সম্ভব না হলে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শূন্যপদের ভিত্তিতে সমগ্রেডে আত্তীকরণ করা।

৪।আমাদের কর্তনকৃত বেতন ও ভাতা গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

img

গাজীপুরে অটোরিকশা-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশিত :  ১১:০৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনই একই পরিবারের সদস্য।

আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ফুলবাড়িয়া-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের বড়চালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী জাহিদ, তার স্ত্রী ও ছেলে। নিহত জাহিদ বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার ঈশ্বরঘাট এলাকার বাসিন্দার বলে জানা গেছে। এ ছাড়া নিহত অন্য যাত্রীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে মাওনা এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫ যাত্রী কালিয়াকৈরের উদ্দেশে রওনা দেন। তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী জাহিদ ও তার ছেলে নিহত হন। এ সময় জাহিদের স্ত্রী ও অন্য তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জাহিদের স্ত্রীসহ দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।


বাংলাদেশ এর আরও খবর