img

গাজায় পরিস্থিতি অসহনীয়, দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৩:৩৩, ০২ জুন ২০২৫

গাজায় পরিস্থিতি অসহনীয়, দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন, গাজায় পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

স্কটল্যান্ডে সাংবাদিকরা জানতে চান, যুক্তরাজ্য গাজার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না। জবাবে স্টারমার বলেন, \'গাজায় পরিস্থিতি অসহনীয় এবং দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এই কারণেই আমরা মিত্রদের সাথে কাজ করছি...।\'

তিনি বলেন, \'সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে বলতে চাই, মানবিক সাহায্য দ্রুত এবং যা পরিমাণে পৌঁছাতে হবে যে, এটি বর্তমানে পৌঁছাচ্ছে না। এর ফলে চরম ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে।\'

এদিকে, সোমবারও (২ জুন) উত্তর ও মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় এক শিশুসহ ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে টিআরটি গ্লোবাল জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফালুজা এলাকায় একটি ইসরায়েলি ড্রোন বেসামরিক নাগরিকদের দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই হামলায় চার জন নিহত হয়।

আরেকটি পৃথক ঘটনায়, উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশে আল-বুরেইজ পৌরসভার একটি গাড়িতে ড্রোন হামলায় আরও তিন জন নিহত হয়। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম গাজা শহরের আল-দাহদৌহ চৌরাস্তার কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ১৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল্লাম আবু আসি নিহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর মতে, আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

অপরদিকে, গতকাল গাজা উপত্যকায় মার্কিন সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েল। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। দখলদার বাহিনীর এই তীব্র গুলিবর্ষণে আরও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হন।

গাজায় ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বরতার ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক সংকটে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে সতর্ক করেছে, পুরো গাজা অঞ্চল দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ক্ষুধার্ত মানুষদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।


যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর