img

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় হাজিরা

প্রকাশিত :  ০৫:২২, ০৪ জুন ২০২৫

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মিনায় হাজিরা

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ বুধবার। এরইমধ্যে হজযাত্রীরা পবিত্র মিনায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। সবার মুখে মুখে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি। এবার বাংলাদেশি মুসল্লিদের সেবায় মিনায় দায়িত্ব পালন করছে ১৮টি টিম।

নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৭ জিলহজ) সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ আবাসন থেকে হজের নিয়ত করে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হজযাত্রীরা।

সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চার লক্ষাধিক হাজি মিনায় অবস্থান করছেন। ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যকা, যা হজের পবিত্র আবহকে আরও গভীর করছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতেই ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হন ধর্মপ্রাণ অনেক মুসলমান। রাত্রি যাপন শেষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রওনা হবেন আরফাতের ময়দানের উদ্দেশে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হজের খুতবা।

আরাফাতে অবস্থানকেই মূলত হজ হিসেবে ধরা হয়। এবার বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি হজ পালন করছেন। মুসল্লিদের হজ পালন নির্বিঘ্ন করতে কড়া নিরাপত্তাসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন।

সৌদি আরবের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি রোববার (২৫ মে) ঘোষণা করেছে যে, এ বছর হজে আরাফার দিনের ঐতিহাসিক খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে তাকে আরাফাহর দিনে খুতবা দেওয়ার অনুমোদন দেন। আগামী ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবাহ দেবেন তিনি।

৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।


img

তাজিয়া মিছিল শুরু, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ০৬ জুলাই ২০২৫

শিয়া সম্প্রদায় আশুরা উপলক্ষে ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তায় রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল শুরু করেছে । আজ রোববার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার পর পুরান ঢাকার হোসেনী দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পল্টন, লালবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত ঘুরে, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে ধানমন্ডিতে শেষ হবে।

ভোর থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারও মুসলিম জড়ো হতে থাকেন। এ সময় শোকের মিছিলে অংশগ্রহণের জন্য পরনে কালো পোশাক, মাথায় কালো পট্টি, কারও হাতে আবার ঝালর দেওয়া লাল-কালো ও সোনালি রংঙের ঝান্ডা দেখা যায়। তাজিয়া মিছিলে কারবালার স্মরণে কালো মখমলের চাঁদোয়ার নিচে কয়েকজন বহন করেন ইমাম হোসাইনের (রা.) প্রতীকী কফিন। মিছিলের সামনে ছিল ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইনের দুটি প্রতীকী ঘোড়াও।

পবিত্র আশুরায় তাজিয়া মিছিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী পুরান ঢাকার লালবাগের হোসেনী দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়ার আশপাশের শিয়া সম্প্রদায়কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে।

একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি ও পটকা বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।