
ব্রিটিশ আদালতে এআই-এর জাল রেফারেন্স! যুক্তরাজ্যে আইনজীবীদের সতর্কতা

সাইফ হাসান: ব্রিটেনের আইনজীবীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর অপব্যবহার বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট। কারণ আদালতে জাল কেস-ল রেফারেন্স জমা পড়েছে। এ বছর দুটি মামলায় এআই-উৎপন্ন মিথ্যা রেফারেন্স ধরা পড়ে, যা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ক্ষুণ্ন করছে। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
\r\nকাতার ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি মামলায় ৪৫টি রেফারেন্সের মধ্যে ১৮টি সম্পূর্ণ জাল এবং অন্যগুলোতে ভুয়া উদ্ধৃতি পাওয়া যায়। বাদী স্বীকার করেন, তিনি এআই টুল ব্যবহার করেছিলেন। হ্যারিংগে ল কেন্টারের একটি মামলায় পাঁচটি কাল্পনিক রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়, যা ব্যারিস্টার গুগল বা সাফারি ব্যবহারের সময় অজান্তে এআই-উৎপন্ন সারাংশ থেকে নেওয়া বলে দাবি করেন। এটি আইনি খরচের অপচয়ের মামলায় পরিণত হয় এবং ব্যারিস্টার ও ল কেন্টারকে অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়।
\r\nহাইকোর্টের কিংস বেঞ্চ ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ডেম ভিক্টোরিয়া শার্প বলেন, এআই এর অপব্যবহার “বিচার প্রশাসন ও জনগণের আস্থার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলে”। তিনি বার কাউন্সিল ও ল সোসাইটিকে এই সমস্যা রোধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলেন। তিনি আরও বলেন, এআই “বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল” উত্তর দিতে পারে, যেমন অস্তিত্বহীন উৎস উল্লেখ বা জাল উদ্ধৃতি প্রদান। অপব্যবহারকারী আইনজীবীদের প্রকাশ্য তিরস্কার, আদালত অবমাননার মামলা বা পুলিশে রিপোর্টের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
\r\nল সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ইয়ান জেফরি বলেন, এই রায় “আইনি কাজে এআই ব্যবহারের বিপদ উন্মোচন করে”। তিনি জানান, জেনারেটিভ এআই-এর ভুল আউটপুটের ঝুঁকির কারণে আইনজীবীদের তাদের কাজের নির্ভুলতা যাচাই করতে হবে। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের একটি ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালে নয়টি জাল রেফারেন্স জমা পড়ে, যা সম্ভবত চ্যাটজিপিটি থেকে নেওয়া। মার্কিন একটি মামলায় সাতটি জাল কেস উল্লেখ করা হয়, যা বিচারক “অর্থহীন” বলে ফেলেন এবং আইনজীবীদের জরিমানা করেন।