img

ব্রিটিশ আদালতে এআই-এর জাল রেফারেন্স! যুক্তরাজ্যে আইনজীবীদের সতর্কতা

প্রকাশিত :  ১৩:৫২, ০৭ জুন ২০২৫

ব্রিটিশ আদালতে এআই-এর জাল রেফারেন্স! যুক্তরাজ্যে আইনজীবীদের সতর্কতা

সাইফ হাসান: ব্রিটেনের আইনজীবীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর অপব্যবহার বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট। কারণ আদালতে জাল কেস-ল রেফারেন্স জমা পড়েছে। এ বছর দুটি মামলায় এআই-উৎপন্ন মিথ্যা রেফারেন্স ধরা পড়ে, যা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ক্ষুণ্ন করছে। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

\r\nকাতার ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি মামলায় ৪৫টি রেফারেন্সের মধ্যে ১৮টি সম্পূর্ণ জাল এবং অন্যগুলোতে ভুয়া উদ্ধৃতি পাওয়া যায়। বাদী স্বীকার করেন, তিনি এআই টুল ব্যবহার করেছিলেন। হ্যারিংগে ল কেন্টারের একটি মামলায় পাঁচটি কাল্পনিক রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়, যা ব্যারিস্টার গুগল বা সাফারি ব্যবহারের সময় অজান্তে এআই-উৎপন্ন সারাংশ থেকে নেওয়া বলে দাবি করেন। এটি আইনি খরচের অপচয়ের মামলায় পরিণত হয় এবং ব্যারিস্টার ও ল কেন্টারকে অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়।
\r\nহাইকোর্টের কিংস বেঞ্চ ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ডেম ভিক্টোরিয়া শার্প বলেন, এআই এর অপব্যবহার “বিচার প্রশাসন ও জনগণের আস্থার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলে”। তিনি বার কাউন্সিল ও ল সোসাইটিকে এই সমস্যা রোধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলেন। তিনি আরও বলেন, এআই “বিশ্বাসযোগ্য কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল” উত্তর দিতে পারে, যেমন অস্তিত্বহীন উৎস উল্লেখ বা জাল উদ্ধৃতি প্রদান। অপব্যবহারকারী আইনজীবীদের প্রকাশ্য তিরস্কার, আদালত অবমাননার মামলা বা পুলিশে রিপোর্টের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
\r\nল সোসাইটির প্রধান নির্বাহী ইয়ান জেফরি বলেন, এই রায় “আইনি কাজে এআই ব্যবহারের বিপদ উন্মোচন করে”। তিনি জানান, জেনারেটিভ এআই-এর ভুল আউটপুটের ঝুঁকির কারণে আইনজীবীদের তাদের কাজের নির্ভুলতা যাচাই করতে হবে। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের একটি ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালে নয়টি জাল রেফারেন্স জমা পড়ে, যা সম্ভবত চ্যাটজিপিটি থেকে নেওয়া। মার্কিন একটি মামলায় সাতটি জাল কেস উল্লেখ করা হয়, যা বিচারক “অর্থহীন” বলে ফেলেন এবং আইনজীবীদের জরিমানা করেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ১৩ জুন ২০২৫

ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ ‘হারমনি পুরস্কার ২০২৫’ গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আজীবন প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে এই তুলে দেন রাজা তৃতীয় চার্লস। পুরস্কার অনুষ্ঠানের আগে, বাকিংহাম প্যালেসে একান্ত দর্শকদের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে স্বাগত জানান তিনি।
কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী বিজয়ী ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন। 
এর আগে, ভূষিত করেছেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয়। তিনি ২০২৪ সালের জুনে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন উদযাপন করতে একটি নতুন পুরস্কার চালু করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ব্রিটিশ কিং চার্লস অধ্যাপক ইউনূসের কাজের অনুরাগী। তার কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক ব্যবসার প্রচারণা ও সভ্যতাকে আত্ম-ধ্বংস থেকে বাঁচাতে তিন শূন্যের জন্য তার প্রচারণামূলক কাজ।
এর আগে, ৩০ মিনিট ধরে চলা এক বৈঠকে তারা বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা কিং চার্লসকে বাংলাদেশে তার সরকারের নেওয়া সংস্কারমূলক উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
এই সাক্ষাৎকে সৌহার্দ্যপূর্ণ বর্ণনা করে শফিকুল আলম বলেন, যেহেতু কিং চার্লস অধ্যাপক ইউনূসকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন, তাই তারা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই পুরো সফরে, আমি বলব এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। 
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অধ্যাপক ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক দেখা করে অভিনন্দন জানান। এ সময় পুরস্কারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি বিরাট সম্মানের বিষয়।
এদিকে, বর্তমানে লন্ডনে থাকা সারা কুক বৃহস্পতিবার বলেছেন যে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে সন্তুষ্ট।

তিনি তার ভ্যারিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এই সপ্তাহে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানাতে পারে অসাধারণ লাগছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর