img

ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরাইলি হামলায় ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশিত :  ০৫:৪৮, ০৮ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:২০, ০৮ জুন ২০২৫

ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরাইলি হামলায় ৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত

ঈদের সময়ও ইসরাইলি বর্বরতা থেকে বাঁচতে পারল না ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঈদুল আজহা ছিল ৬ জুন। তার পরের দিন ৭ জুন ইসরাইলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে উপত্যকাজুড়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ জন। 

রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগসূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।খবর আলজাজিরার।

গাজায় বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তুপ থেকে কয়েক ডজন দেহ বের করে এনেছেন হাসপাতাল কর্মীরা। এটিকে গণহত্যা বলছেন অনেকেই।
 নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য এবং এই ১৬ জনের মধ্যে ৬ শিশুও রয়েছে। এই পরিবারটি বসবাস করত গাজার প্রধান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির সাবরা এলাকায়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আলজাজিরাকে বলেন, বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরাইলি বিমান বাহিনী। তিনি আরও জানান, শনিবারের হামলায় অন্তত ৮৫ জন ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো ত্রাণ নিতে আসার পর ফিলিস্তিনিদের ওপর সবশেষ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, এটা ছিল পুরোপুরি ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা। শনিবার যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবাই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন নারী ও শিশু আছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা মুজাহেদিন ব্রিগেডের নেতা আসাদ আবু শারিয়াকে হত্যা করেছে। যিনি ২০২৩ সালে হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়েছে।
হামাসও টেলিগ্রাম বার্তায় আসাদ শহীদ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঈদের দিন, অর্থাৎ ৬ জুনও দিনভর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী এবং তাতে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৪২ জন।


img

খামেনির অবস্থান শনাক্ত ও ইরানের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি ট্রাম্পের

প্রকাশিত :  ১৯:০১, ১৭ জুন ২০২৫

ইরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির অবস্থান শনাক্ত করার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি কোথায় খামেনি লুকিয়ে রয়েছেন তা শনাক্ত করার দাবি করেছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, তিনি একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদে আছেন- আমরা তাকে হত্যা করছি না, অন্তত এখন নয়।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমরা চাই না ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর হামলা হোক। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের ধৈর্য কমে আসছে।

অন্য একটি পোস্টে ট্রাম্প বড় হাতের অক্ষরে লিখেছেন, ‘শর্তহীন আত্মসমর্পণ!’ এটি তার আগের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি, যেখানে তিনি ইরানের কাছে ‘পূর্ণ আত্মসমর্পণ’ দাবি করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইরানের আকাশে আমরা এখন পূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছি। মার্কিন বাহিনী এই সংঘাতে সরাসরি জড়িত থাকার কথা ঘোষণা করেনি। ফলে তিনি তার বিবৃতিতে ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, ইরানের কাছে ভালো আকাশ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ছিল। এগুলো পরিমাণেও প্রচুর। কিন্তু আমেরিকান তৈরি, পরিকল্পিত ও উৎপাদিত সরঞ্জামের সঙ্গে এর তুলনা হয় না। আমেরিকার চেয়ে ভালো কেউ এটা করতে পারে না।