img

বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধুর

প্রকাশিত :  ০৮:৩৬, ১০ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১০, ১০ জুন ২০২৫

বাসচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধুর

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের আরোহী তিন তরুণ নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ইটাখোলা-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের বান্দারদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের মির্জাকান্দি এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫), বদু মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া (২৩) ও বাবুল মিয়ার ছেলে অপু মিয়া (২০)। তারা তিনজন বন্ধু ছিলেন।
নিহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিন বন্ধু নরসিংদী শহরে আসেন। বাড়ি ফেরার পথে সাড়ে ১১টার দিকে ইটাখোলা-শিবপুর আঞ্চলিক সড়কের বান্দারদিয়া এলাকায় আসলে একটি বাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনজনই মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে আহত হন। দুমড়মুচড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। 

পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ওই তিনজনকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম ও আশিক মিয়ার মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

অন্যদিকে আহত অপুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

সাইফুল, আশিকের বন্ধু ওবায়দুল হক জানান, তারা তিন বন্ধুই নিয়মিত খেলাধুলা করতেন। তারা খেলার সামগ্রী আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) অজয় বালা জানান, বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরোহী তিন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মরদেহ থানায় এনে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

img

টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির অভিযান: কেওড়া জঙ্গল থেকে উদ্ধার ১ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা

প্রকাশিত :  ১৭:৩১, ১৭ জুন ২০২৫

টেকনাফ | ১৭ জুন ২০২৫: কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেদা ও নোয়াপাড়া সীমান্তসংলগ্ন আদমের জোড়া বেড়িবাঁধ এলাকায় সফল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ লেদা বিওপি ও নোয়াপাড়া বিশেষ ক্যাম্পের একাধিক টহল দল অভিযানে অংশ নেয়। বিজিবির সদস্যরা ঝড়-বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে নাফ নদীর তীরে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেন।

রাত গভীর হলে দুই ব্যক্তিকে চুপিসারে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করার চেষ্টা করতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করে বিভিন্ন দিক থেকে ধাওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা নদীর পাশের জলমগ্ন কেওড়া জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এরপর বিজিবির সদস্যরা পুরো এলাকা ঘিরে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চালান।

অভিযানে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া কর্দমাক্ত অবস্থার দুইটি বস্তার ভেতর থেকে ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে নদী সাঁতরে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে গেছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী জমা ও ধ্বংসের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বিজিবির দৃঢ় অবস্থান

বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্ত এলাকায় যেকোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। ভবিষ্যতেও সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বিজিবি এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করবে।

উল্লেখযোগ্য যে, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফ দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এই চোরাচালান রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর