
ড. ইউনূসের সমর্থনে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে বিশাল সমাবেশ

কার্ডিফ থেকে সাজেল আহমেদ: হালাল খাবার হলো সেই সব খাদ্য, যা কোরআন ও হাদিসে নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং যা পবিত্র ও উপকারী। গণতন্ত্রের মাতৃভূমি খ্যাত মাল্টিকালচারাল ও মাল্টিন্যাশনাল শহর ব্রিটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের কার্ডিফে-বে ওয়েলস মেলোনিয়াম সেন্টারে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিবছরের মতো গত ১৪ জুন ( শনিবার) ও ১৫ জুন (রোববার) দু\'দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিগ-হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল ২০২৫।
মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনাচার ও সংস্কৃতি সবার কাছে তুলে ধরতে তৃতীয় বছরের মতো এবারকার চমৎকার আয়োজনে বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে প্রচুর লোকের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
স্বাদ, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির মিলনমেলার মূল আয়োজক ওয়েলস বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটির অন্যতম কো-অর্ডিনেটর, ব্রিটেনে বেড়ে উঠা নব প্রজন্মের সন্তান সাজ হারিছ মেলা সফল করতে সহযোগিতাকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই উৎসব শুধু খাবারের স্বাদ নয়, বরং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনও দৃঢ় করেছে।
আগামী বছর ও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আয়োজকরা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান ও ওয়েলস বাংলা নিউজ এর সম্পাদক, কমিউনিটি লিডার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের বৃহত্তম হালাল খাবার উৎসব যুব সংগঠক সাজ হারিছ এর টিমের সাবিক ব্যাবস্থাপনায় আয়োজিত এই হালাল উৎসবটি শুধু বাংলাদেশ ও মুসলিম কমিউনিটি নয়, সকল ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ হালাল খাবারের স্বাদ নেওয়া সহ সব কমিউনিটিকে একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ যেনো এক প্রাণের বন্ধন বলে উল্লেখ করে এই সব ইভেন্টে আগামীতেও কমিউনিটির সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, বিগ -হালাল ফুড ফেস্টিভ্যাল হলো ব্রিটেনের কার্ডিফের একটি বার্ষিক খাদ্য উৎসব, যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক হালাল রেস্তোরাঁ, ফুড ট্রাক এবং শেফদের তৈরি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এই ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন সংস্কৃতির হালাল ডিশ যেমন বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান কুজিন, পাকিস্তানি, আরবি, তুর্কি, দক্ষিণ এশীয়, উত্তর আফ্রিকান এবং কানাডিয়ান ফিউজন হালাল খাবারের প্রেমিকরা একত্রিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রান্নার স্বাদ উপভোগ করেন।
এছাড়াও মেলায় রকমারী স্টলের পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনের সুযোগসহ শিশুদের জন্য গেমস ও ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কশপ, হস্তশিল্প ও ইসলামিক ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী সহ এই ফেস্টিভ্যালের একটি অংশ দান ও স্থানীয় চ্যারিটিকে সমর্থন করে। অনেক সময় ফুড ড্রাইভ বা অনাথ আশ্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা হয়।