img

লন্ডনে ইউনুস-স্টারমার বৈঠক হচ্ছে না!

প্রকাশিত :  ০৯:১৬, ১১ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:৫৯, ১১ জুন ২০২৫

লন্ডনে ইউনুস-স্টারমার বৈঠক হচ্ছে না!

মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস চার দিনের সফরে মঙ্গলবার ১০ জুন সকাল ৭টায় লন্ডন পৌঁছানোর নয় ঘন্টা পর একই দিন বিকেল ৪টায় তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে ড. ইউনূসের বৈঠকের কোন সময়সূচি এখনো ঠিক হয়নি। অথচ, শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল, লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সাথে ড. ইউনুসের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এ ধরণের সম্ভাবনা থাকলে কূটনৈতিক রীতি হচ্ছে, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে শুরু থেকেই কথাবার্তা শুরু হবে। কিন্তু ইউনুস-কিয়ার স্টারমার বৈঠকের বিষয়ে আদৌ তা হয়েছে কী-না, সে বিষয়ে এখন সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন তোলা যাচ্ছে।

কারণ মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বললেন, ‘কিয়ার স্টারমারের, আমরা যেটা জানতে পারছি যে উনি সম্ভবত কানাডায় আছেন, কানাডা ভিজিট করছেন। আজকে ব্রিটিশ এক পার্লামেন্টারি এমপি এসছিলেন, উনি জানালেন যে উনি (কিয়ার স্টারমার) কানাডায় আছেন।’

কিন্তু তথ‍্য হচ্ছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ১৩ জুন শুক্রবার পর্যন্ত ব্রিটেনেই আছেন।কানাডা তিনি যাচ্ছেন শনিবার ১৪ জুন। 

বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সফরসূচি নির্ধারণের দায়িত্বপ্রাপ্তরা এমন অদ্ভুত হেলা ফেলা জবাব দিয়ে যথাযথ কূটনৈতিক রীতিনীতি সম্পর্কে তাঁরা যে সিরিয়াস নন, তারই প্রমাণ দিলেন কি-না, সে প্রশ্ন আড়াল করা যাচ্ছে না। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যাঁর সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে আগ্রহী, তাঁর দেশের ভেতরের ও বাইরের কর্মসূচি সম্পর্কে আগেভাগে সঠিকভাবে জানার দরকারটা প্রেস সচিব, বা হাই কমিশনার জানার দরকার কেন মনে করলেন না?

আর সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলছেন, কোন এক ব্রিটিশ এমপি নাকি বলেছেন, কিয়ার স্টারমার এখন নাকি কানাডায়! 

পরিস্থিতি থেকে মনে হচ্ছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে ড. ইউনূসের বৈঠকের আয়োজন করতে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা ব‍্যর্থ হয়েছেন।

বিষয়টি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি ও লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তাদের বক্তব্য কী তুলে ধরবেন?

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর