img

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনুসের সাথে সাক্ষাতে রাজি হননি

প্রকাশিত :  ২১:৫৫, ১১ জুন ২০২৫

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ড. ইউনুসের সাথে সাক্ষাতে রাজি হননি

মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, লন্ডন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স‍্যরা কিয়ার স্টারমার লন্ডন সফররত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সাথে সাক্ষাৎ করার অনুরোধে সম্মত হননি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আজ জানানো হয়েছে যে, ড. ইউনুসের সাথে কিয়ার স্টারমারের সাক্ষাৎ করার কোন পরিকল্পনা নেই। ড. ইউনুসের ইচ্ছে ছিলো বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের সময় দেশটি থেকে পাচার হওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার উদ্ধারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন পেতে আগ্রহী ছিলেন। 

ড. ইউনুস বাংলাদেশ ছাড়ার আগে থেকেই তাঁর কার্যালয় থেকে ঘোষণা এসেছিলো যে, প্রান উপদেষ্টা লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। 

কিন্তু গতকাল মঙ্গলবারই জানা যায় যে, কিয়ার স্টারমারের দফতরের কাছ থেকে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া ছাড়াই তারা এ কথা মিডিয়াকে জানাতে শুরু করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, কিয়ার স্টারমার এখন কানাডা সফরে আছেন, তিনি ফিরে এলেই একটা শিডিউল করে দুই সরকার প্রধানের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এখনো কানাডা যাননি। যাবেন আগামি শনিবার। 

দেখা যাচ্ছে, এই দুই সরকার প্রধানের বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা প্রথম থেকেই ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন, যা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশ ও ড. ইউনুসের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন করেছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর