img

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্ট

প্রকাশিত :  ১৫:২৮, ১২ জুন ২০২৫

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্ট

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে ইঙ্গিত করে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি লিখেছেন, টাকা ফেরত চাইলে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না— এ বিষয়ে বন্ধুবান্ধব আর সরকারপ্রধানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। 

প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধে সাড়া দেননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধারের প্রচেষ্টায় সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে লন্ডনে এ সফর করছেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, বিগত শাসনামলে ‘চুরি’ হওয়া অর্থ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নৈতিকভাবে বাধ্যবাধকতা উপলব্ধি করা উচিত। চুরি হওয়া ওই অর্থের একটি বড় অংশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্টারমার অবশ্য এখনো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, তার সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দেওয়া স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। অনেকে মন্তব্য করেছেন তার পোস্টের কমেন্টবক্সে। শেখ ফাহিম ফয়সাল নামে একজন লিখেছেন, তাও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
আবুল কাশেম অভি লেখেন, আর এটাকেও কিছু কিছু দলের মানুষ ক্রেডিট মনে করছে। আহাম্মক বলে যা হয় আর কি! 
এদিকে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ জব্দ করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি গুরুতর ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে কাজ করে। মঙ্গলবার রাতে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী শাখাকে (আই-ইউনিট) দেওয়া এক বিবৃতিতে সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দের আদেশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে তারা।
লন্ডনের ৯টি সম্পদ জব্দের আদেশ পাওয়ার কথা জানিয়েছে এনসিএ। এসব সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৯ কোটি পাউন্ড (১৬৪ টাকা ধরে যা প্রায় ১ হাজার ৪৭৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা)।
গত বছর আল–জাজিরার এক প্রামাণ্যচিত্রে বলা হয়েছিল, ৫৬ বছর বয়সি সাইফুজ্জামান যুক্তরাজ্যে ৩৫০টির বেশি সম্পদের (বাড়ি ও ফ্ল্যাট) মালিক। এর মধ্যে ঠিক কতগুলোর বিষয়ে এনসিএ পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আই-ইউনিট এতটুকু জানাতে পারছে যে, লন্ডনের সেন্ট জনস উডে সাইফুজ্জামানের বিলাসবহুল বাড়িটি জব্দের তালিকায় রয়েছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর