img

‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ১৩ জুন ২০২৫

‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করলেন প্রধান উপদেষ্টা

ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ ‘হারমনি পুরস্কার ২০২৫’ গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আজীবন প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে এই তুলে দেন রাজা তৃতীয় চার্লস। পুরস্কার অনুষ্ঠানের আগে, বাকিংহাম প্যালেসে একান্ত দর্শকদের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে স্বাগত জানান তিনি।
কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী বিজয়ী ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন। 
এর আগে, ভূষিত করেছেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয়। তিনি ২০২৪ সালের জুনে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপন উদযাপন করতে একটি নতুন পুরস্কার চালু করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ব্রিটিশ কিং চার্লস অধ্যাপক ইউনূসের কাজের অনুরাগী। তার কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ, দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক ব্যবসার প্রচারণা ও সভ্যতাকে আত্ম-ধ্বংস থেকে বাঁচাতে তিন শূন্যের জন্য তার প্রচারণামূলক কাজ।
এর আগে, ৩০ মিনিট ধরে চলা এক বৈঠকে তারা বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা কিং চার্লসকে বাংলাদেশে তার সরকারের নেওয়া সংস্কারমূলক উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।
এই সাক্ষাৎকে সৌহার্দ্যপূর্ণ বর্ণনা করে শফিকুল আলম বলেন, যেহেতু কিং চার্লস অধ্যাপক ইউনূসকে দীর্ঘদিন ধরে চেনেন, তাই তারা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই পুরো সফরে, আমি বলব এটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। 
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অধ্যাপক ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক দেখা করে অভিনন্দন জানান। এ সময় পুরস্কারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি একটি বিরাট সম্মানের বিষয়।
এদিকে, বর্তমানে লন্ডনে থাকা সারা কুক বৃহস্পতিবার বলেছেন যে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরে সন্তুষ্ট।

তিনি তার ভ্যারিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এই সপ্তাহে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে যুক্তরাজ্যে স্বাগত জানাতে পারে অসাধারণ লাগছে।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

যুক্তরাজ্যে ভোটারদের বয়স ১৬ করার প্রস্তাব

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৮ জুলাই ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৩৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া

বিশ্বের অন্যতম সর্বনিম্ন বয়সের ভোটার নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে নির্বাচনের সময় ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। 

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও অধিকতর সুসংসহত এবং কার্যকর হয়ে উঠবে। তবে, এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও অনেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ১৬ বছর বয়সীরা যদি কাজ করতে পারেন তাঁরা যদি ট্যাক্স প্রদান করে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে তাঁদের এবং জনগণের টাকা এবং ট্যাক্স কোন পথে ব্যয় হবে সে ব্যাপারে মতামত প্রকাশে তাঁদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা দেশের এবং জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের মতামত গ্রহণ করলে তা বিপুল জনগোষ্ঠীর উপকারে আসবে।

লেবার দলের বিরোধীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের ভোটাররা মধ্য বামপন্থি লেবার সমর্থক হওয়ায় এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

তবে, এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সংসদে একিটি বিল পাশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও স্যার কিয়ার স্টারমার এগিয়ে যাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ, সংসদের লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ যেমন অস্ট্রিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল,ইকুয়েডর এবং কিউবাতে ১৬ বছর বয়সীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী ও লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, এর লক্ষ হল গণতন্ত্রকে আধুনিকিকরণ এবং ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি করা। স্কটল্যাণ্ড এবং ওয়েলসের অল্প বয়সীরা স্থানীয় নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই ভোট দেয়ার অধিকার পেয়ে আসছেন।



যুক্তরাজ্য এর আরও খবর