img

দুবাইয়ের ৬৭ তলা ভবনে ভয়াবহ আগুন

প্রকাশিত :  ০৮:৩৮, ১৫ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৩৯, ১৫ জুন ২০২৫

দুবাইয়ের ৬৭ তলা ভবনে ভয়াবহ আগুন

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত সুউচ্চ আবাসিক ভবন ‘মারিনা পিনাকল’-এ ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে দুবাইয়ের মারিনা এলাকার ৬৭ তলা ভবনটিতে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মারিনা পিনাকলে থাকা ৭৬৪টি ফ্ল্যাট থেকে মোট ৩ হাজার ৮২০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দুবাই সরকারের মিডিয়া অফিস (ডিএমও)।

ডিএমওর পক্ষ থেকে এক্স প্ল্যাটফর্মে রাত ১টা ৪৪ মিনিটে প্রথম পোস্টে জানানো হয়, বিশেষ প্রশিক্ষিত দলগুলো ভবনের প্রতিটি ইউনিট থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে। এই সময় তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তী পোস্টে, রাত ২টা ৯ মিনিটে জানানো হয়, ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসেবা দল উপস্থিত রয়েছে এবং উদ্ধারকৃত বাসিন্দাদের শারীরিক ও মানসিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এরপর রাত ২টা ২১ মিনিটে আরেকটি পোস্টে জানানো হয়, মোট ৭৬৪টি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৩ হাজার ৮২০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এ ঘটনায় কেউ আহত হননি।

খালিজ টাইমস জানায়, আগুন লাগার পর পরই ভবনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মারিনা পিনাকলে এই প্রথম আগুন লাগেনি।  এর আগে, ২০১৫ সালের মে মাসে ভবনের ৪৭তম তলার একটি রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা পরে ৪৮তম তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সে সময়ও দুবাই সিভিল ডিফেন্স দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

ডিএমও আরও জানিয়েছে, আগুনের ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ভবনের নিরাপত্তাব্যবস্থা পুনরায় মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।

img

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৭:১২, ১৮ জুলাই ২০২৫

 আমেরিকার ভিসাপ্রার্থীরা ভুয়া নথিপত্র দাখিল বা তথ্য গোপন করলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।এমনকি হতে পারে ফৌজদারি মামলাও।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়, এই গল্প আমরা আগেও শুনেছি। কনস্যুলার অফিসাররা সবসময় ভিসা জালিয়াতি, ভুয়া নথিপত্র এবং প্রতারণার নতুন কৌশল সম্পর্কে অবহিত। তথ্য গোপন করা বা মিথ্যা উপস্থাপন গুরুতর অপরাধ।

দূতাবাস জানায়, কেউ যদি ভিসা আবেদন ফরমে (ডিএস-১৬০) ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন বা গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট গোপন করেন, তাহলে শুধু তাৎক্ষণিক ভিসা প্রত্যাখ্যান নয়, ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার অযোগ্যতা তৈরি হতে পারে।

গত ১০ জুলাই দূতাবাসের অন্য একটি পোস্টে জানানো হয়েছিল, ডিএস-১৬০ ফরমে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারীনাম বা হ্যান্ডেল উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীরা নিজে থেকেই সমস্ত তথ্য সত্য বলেই স্বীকার করে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেন ও জমা দেন।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ভুয়া নথিপত্র বা তথ্য গোপনের মাধ্যমে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।