img

এইডস রোগীদের বাঁচাতে টিকা আনছে রাশিয়া

প্রকাশিত :  ০৭:২৮, ২৮ আগষ্ট ২০২৫

এইডস রোগীদের বাঁচাতে টিকা আনছে রাশিয়া

এবার ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী রোগ এইডসের টিকা তৈরি করছে রাশিয়া। যদি প্রকল্পটি সফল হয়, তবে এটিই হবে বিশ্বের প্রথম এইডস টিকা।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডে জানিয়েছে, সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গামালিয়া ন্যাশনাল সেন্টার ইতোমধ্যে টিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। সব ঠিক থাকলে আগামী দুই বছরের মধ্যেই বাজারে আসতে পারে এ টিকা।

গামালিয়া সেন্টারের মহামারিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ভ্লাদিমির গুশচিন জানিয়েছেন, সর্বাধুনিক এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এ টিকা তৈরি হবে। প্রচলিত টিকার মতো মৃত বা দুর্বল জীবাণু ব্যবহার করা হবে না। বরং এক ধরনের প্রোটিন ব্যবহার করা হবে, যা শরীরে ঢুকে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অ্যান্টিজেন তৈরির কাজ শুরু করেছি। আশা করছি দুই বছরেরও কম সময়ে টিকা বাজারে আনা সম্ভব হবে।

এইডসের জন্য দায়ী এইচআইভি ভাইরাস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি সহজেই অন্য যেকোনো সংক্রমণে মারা যেতে পারেন। অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক, দূষিত সিরিঞ্জ এবং মায়ের দেহ থেকে নবজাতকের শরীরে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।

১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে সাহারা ও নিম্ন আফ্রিকার দেশগুলোতে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শুধু ২০১৮ সালেই বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ মানুষ এইডসে মারা গিয়েছিলেন।

তবে ২০১০ সালের পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বিশ্বে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হন, যা এক দশকের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম।

এর আগে বিভিন্ন দেশ টিকা তৈরির চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। তবে করোনা মহামারির সময় প্রথম স্পুটনিক-ভি টিকা তৈরি করে আলোচনায় আসে গামালিয়া সেন্টার। সেই টিকা ৭০টিরও বেশি দেশে ব্যবহার হয়েছিল।


img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর