img

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করলেন শবনম ফারিয়া

প্রকাশিত :  ১৩:৩২, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করলেন শবনম ফারিয়া

নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। সেই সঙ্গে জোর করে তাকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছেন  শবনম ফারিয়া।

শবনম লিখেছেন, ‘জীবনে কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, যেগুলোর জন্য নিজে কোনোভাবেই দায়ী নই। যেমন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা-ই লিখি, কিছুক্ষণ পর দেখি সেটা খবর হিসেবে ছাপা হচ্ছে! প্রথমে হাসাহাসি করতাম, পরে বিব্রত বোধ হতো, আর এখন যেহেতু নিয়মিত অভিনয় করি না তাই এগুলো ‘হু কেয়ার’ মুডে ঢুকে গেছি। কিন্তু কিছু ঘটনা থাকে, যেগুলো শুধু বিব্রতকর না, বিরক্তিকরও বটে! বিশেষ করে, জোর করে আমাকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা।’

নিজের রাজনৈতিক অবস্থা পরিষ্কার করে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক দল আছে বা সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের কারোর সঙ্গেই আমার কোনো সমর্থন নেই। আমার পেজ পাবলিক, সেখানে যেমন কালা মাগুর কমেন্ট করতে পারে, তেমনি নীল তিমি, কাউয়া কিংবা টিয়াও পারে! তাতে আমার রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিফলিত হয় না। আমি কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নই।’

নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চান এই অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে রাজনীতির বাইরে থেকেই সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চান তিনি।

শবনম ফারিয়া বলেন, ‘ভবিষ্যতে নিজেকে একজন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি শিল্পী, সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশ হতে চাই। রাজনীতি আমার ‘মঞ্চ’ না। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ, চোরকে চোর, আর চাঁদাবাজকে চাঁদাবাজ বলাই আমার নীতিতে পড়ে।’

ব্যক্তিগত জীবনে  খুব কঠিন ও সংকটপূর্ণ একটা সময় পার করার কথা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। তা না হলে অভিনয় এর পাশাপাশি চাকরি না করে, টিকটকে নাচতাম, জিম করতাম, আর ব্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে পশ্চাৎদেশের মিরর সেলফি দিতাম। এই দেশে অ্যাটেনশনের জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না, আমিও জানি, আপনারাও জানেন।’

সবশেষে কাউকে অহেতুক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করার অনুরোধও জানান ফারিয়া। বলেন, ‘ আমি এখন ব্যক্তিগতভাবে খুব কঠিন ও সংকটপূর্ণ একটা সময় পার করছি। আল্লাহর দোহাই লাগে, দয়া করে অন্য কাউকে অহেতুক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করুন। না হলে এমন এক অবস্থায় পড়বেন, যেখানে হেলিকপ্টার, ট্যাংক বা এমনকি বুড়িগঙ্গার ময়লা পানিতে ডুব দিয়েও পালাতে পারবেন না!’


img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।