img

জর্ডান থেকে বগুড়া এনে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত :  ০৬:৫৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জর্ডান থেকে বগুড়া এনে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জর্ডান থেকে ফেরত এনে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ফজলুল হক (২৬) নামে এক কৃষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফজলুল হক উপজেলার বড়চাপড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের এক নারী (৩৩) জীবিকার তাগিদে ২০২২ সালে জর্ডান যান। সেখানে অবস্থানকালে মুঠোফোনে ফজলুল হকের সঙ্গে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকার কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ফজলুল হক। এরপর ফজলুল হকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১ আগস্ট জর্ডান থেকে দেশে ফিরেন প্রেমিকা। এ অবস্থায় বিয়ের কথা বলে ফজলুল হক প্রবাস ফেরত প্রেমিকার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে।

এদিকে রোববার রাতে তারই ধারাবাহিকতায় ফজলুল হক প্রেমিকাকে নান্দিয়ারপাড়া গ্রামে তার চাচাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে ফজলুল হক। এ সময় ফজলুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় প্রেমিকা। কিন্তু ফজলুল বিয়েতে রাজি না হয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রেমিক ফজলুলকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই প্রেমিকা বাদী হয়ে প্রেমিক ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ধুনট থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, বিদেশ ফেরত এক নারীর ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আসামি ফজলুল হককে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।