img

সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা তুরস্কের, আটকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ০২ অক্টোবর ২০২৫

সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা তুরস্কের, আটকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি

ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইলি হামলা ও স্বেচ্ছাসেবকসহ বেশ কয়েকটি জাহাজ জব্দের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। সেই সঙ্গে আটক স্বেচ্ছাসেবকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে দেশটি।

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজাগামী নৌবহরে ইসরাইলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। খবর আল জাজিরার।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সহিংসতার আশ্রয় না নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এই হামলা প্রমাণ করে যে, গণহত্যাকারী নেতানিয়াহুর সরকার বাস্তবায়িত ফ্যাসিবাদী ও সামরিক নীতি, যারা গাজাকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা কেবল ফিলিস্তিনিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।’

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, নৌবহরে বাধা এবং কর্মীদের আটক থেকে বোঝা যায় যে, ইসরাইলি বাহিনী ‘ইসরাইলের আরোপিত নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামকারী প্রত্যেককেই’ লক্ষ্যবস্তু করছে’। আরও বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আটক তুর্কি নাগরিকদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য এখন সব পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং তুর্কি সরকার নৌবহরে হামলার অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেবে।

img

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

প্রকাশিত :  ০৪:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া ছিল, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। 

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অবশ্য গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া—যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা—এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যদিও এতদিন পুলিশ বাহিনী হামাসের আওতাধীন ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একাধিক দেশ এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তবে দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর