img

মুদ্রাস্ফীতি কমলেও দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে ২১.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত :  ০৯:৪৮, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

মুদ্রাস্ফীতি কমলেও দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে ২১.২ শতাংশ: বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া দেশে দারিদ্র্যের হার বাড়ার পাশাপাশি ভালো নেই কর্মসংস্থানের বাজারও। 

২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ কমে ৬০.৯ শতাংশ থেকে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে নতুনভাবে শ্রমবাজারের বাইরে থাকা ৩০ লাখ কর্মক্ষম জনগণের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা অফিসে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ করা হয়। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর নিযুক্ত জ্যঁ পেম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মসংস্থানের অবস্থা ২০২৪ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে অবনতি ঘটেছে। অর্থনৈতিক চাপ, মূল্যস্ফীতি ও নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ হ্রাসের ফলে সামগ্রিক শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।

২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে।

এই পতনের প্রধান কারণ হলো নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বাইরে বেড়েছে নারী সংখ্যা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এটি নারীদের কর্মসংস্থান সংকটে পড়ার এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে।

এসময়কালে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গেছে, ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে (৬৯.১ মিলিয়ন)।

এর ফলে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।


বাংলাদেশ এর আরও খবর

img

রাজধানীতে যুবদল নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় তাকে ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যা করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পল্লবীর ব্লক সির ১৩ রোডে যুব দলের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গোলাম কিবরিয়া নিহত হন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এ ঘটনা জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মৃতদেহ সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক জানান, গুলিবিদ্ধ কিবরিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় সোহরাওয়াদী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে, যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পল্লবী এলাকা ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যুবদল ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে থমথমে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর