img

বাংলা চলচ্চিত্র “ইলাইজা” দেখানো হবে হোয়াইট চ‍্যাপলের জেনেসিস সিনেমায়

প্রকাশিত :  ০৯:১১, ২১ অক্টোবর ২০২৫

অস্কার কোয়ালিফায়িং উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি

বাংলা চলচ্চিত্র “ইলাইজা” দেখানো হবে হোয়াইট চ‍্যাপলের জেনেসিস সিনেমায়

আগামী নভেম্বরের ১৫ তারিখে হোয়াইট চ‍্যাপলে অবস্থিত জেনেসিস সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত বাংলা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ইলাইজা”। এটি ফিলিক্স রাইজিং ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসেবে উৎসবের ওপেনিং প্রদর্শনী হিসেবে প্রদর্শিত হবে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজীদ সিজন।

ইলাইজা এ বছরের জানুয়ারি মাসে চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায় এবং এরই মধ্যে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এবং বেশকিছু পুরস্কার অর্জনও করেছে। সম্প্রতি এটি অস্কার কোয়ালিফায়িং তসবির চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ট স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে। 

ইলাইজা চলচ্চিত্রে বাংলাদেশি এক অভিবাসী পরিবারের সংগ্রামী জীবনের গল্প তুলে ধরেছে। নিউ ইয়র্ক শহরে হলুদ টেক্সি মেডালিয়নের বিপর্যয়ের ফলে অভিবাসী ভুক্তভোগীদের  কথা বলা হয়েছে। এটি একটি মানবিক চলচ্চিত্র। মূলধারার মিডিয়াতে এই অভিবাসীদের করুণ গল্প তেমন তুলে ধরা হয় নি। হোয়াইট চ্যাপলে বাংলাদেশি কমিউনিটি ছবিটি দেখার সুযোগ পাবেন আগামী নভেম্বরের ১৫ তারিখ বেলা ১২ ঘটিকায়।  চলচ্চিত্রটি বাংলার বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়, এর মধ্যে রয়েছে কলকাতান, সিলেটী, ঢাকাইয়া কুট্টি ও সাধারণ চলিত বাংলা। 

তসবির চলচ্চিত্র উৎসবের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিতা মেহের বলেন, “৯/১১–এর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয়দের নিয়ে যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছিল, সেটি দূর করতেই আমাদের এই উৎসবের সূচনা। এবারের আসরে রাজীদের ‘ইলাইজা’ সেই লক্ষ্যকেই নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে—চলচ্চিত্রটি আমাদের বিচারকদের হৃদয় ছুঁয়েছে।”

পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি জানাতে গিয়ে রাজীদ সিজন বলেন, “‘ইলাইজা’ আসলে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের গল্প। সিয়াটলে প্রদর্শনের সময় হলভর্তি দর্শকের আবেগ, করতালি আমাকে আপ্লুত করেছে। এই পুরস্কার আমি উৎসর্গ করছি আমার পরিশ্রমী কলাকুশলী দল, যুক্তরাষ্ট্রে ট্যাক্সি মেডেলিয়ন বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি ভাইবোন এবং সমাজে উপেক্ষিত লিঙ্গ-বৈচিত্র্যসম্পন্ন মানুষদের।”

‘ইলাইজা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এজাজ আলম, মিথিলা গাজী এবং দেবজানী ব্যানার্জি। তাদের অনবদ্য অভিনয় দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

টিকেট সংগ্রহ করতে এই লিংকে ব্রাউজ করুন: 

https://www.genesiscinema.co.uk/event/102812

Genesis Cinema: 93-95 Mile End Rd, Bethnal Green, London E1 4UJ


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

লন্ডনে চিত্রশিল্পী বাইস কাদিরের দেড় মাসব্যাপী ১৬তম একক চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন

প্রকাশিত :  ১৭:০৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:০৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

লন্ডন, ১৫ ডিসেম্বর : লন্ডনে জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হলো প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী বাইস কাদিরের ১৬তম একক চিত্রপ্রদর্শনী। মানবিক বার্তাধর্মী এই প্রদর্শনীর শিরোনাম ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। গত ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেল ৬টায় লন্ডনের ব্রাডি আর্ট অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার গ্যালারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন। কমিউনিটি সংগঠক আব্দুল বাছির এবং লেখক-সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকবৃন্দ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন - আতাউর রহমান আঙুর, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন লেবু, আবজল হোসেন, আব্দুল লতিফ নিজাম, সেলিম উদ্দিন চাকলাদার, সায়াদ আহমদ সাদ, সুহেল আহমদ চৌধুরী, "ভয়েস অব পিপল" এর সম্পাদক ও কলামিসট সিদ্দিকুর রহমান নির্ঝর, আব্দুল কাদির, জাকির হোসেন, সৈয়দ জহুরুল হক, শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, আব্দুল খালিক ফখর, মারুফ আহমদ, কিশোয়ার এনাম লিটন, ফারহান মোহাম্মদ বাইস, আবুল হোসেন, রুমানা এনাম, রেবেকা চেস্টার, ক্যাথেলিন প্রমুখ।

উপস্থিত অতিথিগন বাইস কাদিরের শিল্পকর্মের মানবিক বার্তা ও সৃজনশীলতার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে শিল্পী নিজেই অতিথিদের সঙ্গে গ্যালারির প্রতিটি চিত্রকর্ম ঘুরে দেখান এবং প্রতিটি ছবির পেছনের ভাবনা, রঙ ও রেখার ব্যবহার ও শিল্পীসত্তার অন্তর্নিহিত দর্শন ব্যাখ্যা করেন, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও আলোচনা সৃষ্টি করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লন্ডনের শিল্প-অনুরাগী, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো আয়োজনটি প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। গ্যালারিতে দিনভর দর্শনার্থীদের আগ্রহ ও কৌতূহল লক্ষ্য করা যায়।

প্রদর্শনীটি সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য ১২ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে দর্শকরা বাইস কাদিরের সৃষ্টিশীল শিল্পভাষা, রঙের ব্যবহার ও বিষয়বস্তুর গভীরতা কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় চিত্রশিল্পী বাইস কাদির বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনবাস্তবতা, স্বপ্ন ও সংগ্রাম এই প্রদর্শনীর চিত্রকর্মগুলোর মূল অনুপ্রেরণা। প্রতিটি ছবিতে শিশুদের অসহায়ত্বের পাশাপাশি ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ও মানবিক দায়বদ্ধতার বার্তাও প্রতীকী রূপে ফুটে উঠেছে।

আয়োজকদের মতে, এই প্রদর্শনী কেবল একটি শিল্প প্রদর্শনী নয়, এটি একটি মানবিক আহ্বান, যেখানে শিল্পের ভাষায় শিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্ববাসীর সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াস রয়েছে। লন্ডনের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বাইস কাদিরের এই একক প্রদর্শনী ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাড়া ফেলেছে।

উল্লেখ্য যে, চিত্রকলায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাইস কাদির বহু দেশি-বিদেশি সম্মাননা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি তিনি স্টার পারফরমার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫, এক্সেলেন্স অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫, পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সম্মাননা লাভ করেছেন।

কমিউনিটি এর আরও খবর