img

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে মার্কিন ড্রোন

প্রকাশিত :  ০৯:৩৮, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে মার্কিন ড্রোন

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার আকাশে নজরদারি ড্রোন ওড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের  সামরিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ড্রোন অভিযান ইসরাইলের সম্মতিতেই পরিচালিত হচ্ছে এবং এলাকাটির স্থল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত হচ্ছে। 

এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং দুজন ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাত দিয়ে জানানো হয়, নজরদারির মূল লক্ষ্য হলো দক্ষিণ ইসরাইলে অবস্থিত সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টার-কে সহায়তা করা।

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ওই সমন্বয় কেন্দ্রে প্রায় ২০০ জন মার্কিন সেনা কাজ করছেন। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ওই কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এর আগেও মার্কিন সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকার আকাশে বিশেষ ধরনের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন উড়িয়েছিল।  ইসরাইলি বাহিনীকে জিম্মিদের অবস্থান শনাক্ত করতে সহায়তা করার জন্য এ অভিযান চালানো হয়। 

নিউইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হয়তো যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি থেকে সরে যেতে পারেন।


img

ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন: দেশে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাধীনতা

প্রকাশিত :  ১২:০৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন সংস্থা ফ্রিডম হাউস জানিয়েছে, বিশ্বে অনলাইনের স্বাধীনতা কমে গেলেও বাংলাদেশে এর উন্নতি হয়েছে । আজ প্রকাশিত ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।

এ গবেষণায় ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

ফ্রিডম হাউস বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া অভ্যুত্থানে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারায়। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার আনে। এর ফলেই বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১০০-এর মধ্যে ৪৫ হয়েছে। গত বছর এই স্কোর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের সেরা অবস্থান।

তবে এত উন্নতির পরও বাংলাদেশ এখনো ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকায় রয়ে গেছে—যে অবস্থানে ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে।

ফ্রিডম হাউস তিনটি বড় বিষয় দেখে স্কোর নির্ধারণ করে—

(১) ইন্টারনেটে প্রবেশের বাধা,

(২) অনলাইনে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ,

(৩) ব্যবহারকারীর অধিকার লঙ্ঘন।

এই তিনটি বিভাগে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কিছু বড় পরিবর্তন হলো—২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুহাম্মদ এমদাদ-উল-বারীকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। তিনি ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট প্রবেশাধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেন।

২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি হয়।

এতে কিছু ভালো দিক যেমন অনলাইন হয়রানি ও যৌন নির্যাতনবিরোধী সুরক্ষা রয়েছে, তবে আগের মতোই কিছু উদ্বেগজনক বিষয়—যেমন অনলাইনে বক্তব্যের জন্য শাস্তি ও নজরদারি রয়ে গেছে।

এদিকে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পেছনে রয়েছে। পাকিস্তান ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটোই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে রয়েছে।


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর