মাদক চোরাচালানের অভিযোগ

img

প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজে মার্কিন বিমান হামলা, নিহত ৪

প্রকাশিত :  ০৯:১৩, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

প্রশান্ত মহাসাগরে জাহাজে মার্কিন বিমান হামলা, নিহত ৪

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে একটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।  এতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এর কয়েকদিন আগেই এই অঞ্চলে তিনটি পৃথক জাহাজে হামলা চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউসের বরাতেএক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বুধবার রাতে এক্স-তে এক পোস্টে বলেছেন, আরেকটি মাদক-পাচারকারী জাহাজে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।

হেগসেথ বলেছেন, চারজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী জাহাজে নিহত হয়েছে। একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন দ্বারা জাহাজটি পরিচালিত হচ্ছিল।

তিনি হামলার সঠিক অবস্থান উল্লেখ করেননি। তবে বলেছেন, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অভিযানটি হয়েছে।

হেগসেথ হামলার আকাশ ফুটেজ পোস্ট করে বলেন, অন্য সব জাহাজের মতো এই জাহাজটিও আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে অবৈধ মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল। একটি পরিচিত মাদক পাচারের পথ ধরে চলাচল করছিল এবং মাদক বহন করছিল।

হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়ার তিন দেশ সফরে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেন। ২০১৯ সালের পর তাদের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন এটি। দক্ষিণ কোরিয়ার আগে ট্রাম্প মালয়েশিয়া ও জাপানও সফর করেন।


img

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন

প্রকাশিত :  ০৪:৫৪, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে। এই পরিকল্পনায় গাজার জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের কথা রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৩টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, যার মধ্যে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সোমালিয়া ছিল, তবে রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত থাকে। 

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, আইএসএফ-এর কাজ হবে এলাকা সুরক্ষিত রাখা, গাজাকে সামরিকীকরণমুক্ত করা, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ভেঙে ফেলা, অস্ত্র অপসারণ এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

অবশ্য গাজার শাসকদল হামাস এই প্রস্তাবটি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবি পূরণ করে না। টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, পরিকল্পনাটি গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বিভিন্ন গোষ্ঠী মানতে রাজি নয়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজার ভেতরে আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া—যেমন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা—এই বাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরিয়ে দেবে। খসড়া অনুযায়ী, আইএসএফ-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে হামাসসহ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করা। পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং মানবিক সহায়তার রুটগুলো নিরাপদ রাখা।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া আইএসএফ ইসরায়েল ও মিসরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজায় নতুন করে প্রশিক্ষিত একটি ফিলিস্তিনি পুলিশ গঠনের কথাও বলা হয়েছে, যদিও এতদিন পুলিশ বাহিনী হামাসের আওতাধীন ছিল। 

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, একাধিক দেশ এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সদস্য পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তবে দেশগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর