প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে SKAL ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রিদের সদস্যপদ পেলেন ডাল্টন জহির
পর্যটন ও আতিথেয়তা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (ডাল্টন জহির নামে পরিচিত) মর্যাদাপূর্ণ এসকেএএল ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রিদ-এর প্রথম বাংলাদেশি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ৯০ বছরের ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের মাদ্রিদ অধ্যায়ের ৭০ বছরের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
মাদ্রিদ, স্পেনের পুয়ের্তা দে আমেরিকা হোটেলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় ডাল্টন জহিরকে তার সদস্যপদ সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত মিঃ তাকাহিরো নাকামে এবং অর্থনৈতিক, পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা মাই সাসাকি। SKAL ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রিদ পর্যটন পেশাদারদের একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক, যা শিল্পের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক, নেটওয়ার্কিং এবং সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে কাজ করে।
SKAL মাদ্রিদের সভাপতি মিঃ র্যামন অ্যাডিলন বলেন, “ডাল্টনকে আমাদের প্রথম বাংলাদেশী সদস্য হিসেবে স্বাগত জানাই। তার ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা এবং সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ইকোট্যুরিজম সোসাইটির ইউরোপ প্রধান হিসেবে নিযুক্তি এই খাতে অমূল্য অবদান রাখবে।”
এদিকে, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ইকোট্যুরিজম সোসাইটির ইউরোপ প্রধান হিসেবে ২০২৫-২০২৮ মেয়াদের জন্য নিযুক্ত হওয়ায় ডাল্টন জহির আরও একটি আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পেয়েছেন। এই পদে তিনি কৌশলগত ব্র্যান্ডিং ও উন্নয়ন উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইকোট্যুরিজমকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবেন।
২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে আতিথেয়তা, পর্যটন, জনসংযোগ, মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায় অভিজ্ঞতার অধিকারী জহির বাংলাদেশ ও বিভিন্ন দেশে ট্র্যাভেলার কী, ইউরোপ কী, ট্র্যাভেলার টাইমস, ওয়েলকাম বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ল্ড ভ্যাকেশন ক্লাবের মতো উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (FBCCI) এবং ট্যুরিজম ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশে (TDAB) গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
ডাল্টন জহির বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীকে আন্তর্জাতিক পর্যটন সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যেই ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ৩৫টিরও বেশি দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং অসংখ্য আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ও ফোরামে অংশগ্রহণ করেছেন।
এই অর্জন কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের পর্যটন খাতের আন্তর্জাতিক মান অর্জনের প্রতীক হিসেবেও গণ্য হচ্ছে।



















