img

স্বর্ণের গয়না চুরির দায়ে গ্রেপ্তার অভিনেত্রী রূপা দত্ত

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ০১ নভেম্বর ২০২৫

স্বর্ণের গয়না চুরির দায়ে গ্রেপ্তার অভিনেত্রী রূপা দত্ত

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপা দত্তকে স্বর্ণের গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ভারতের ব্রেবন রোড এলাকা থেকে অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রূপার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৫ অক্টোবর কলকাতার পোস্তা থানা এলাকায় আদি বাঁশতলা লেনে একটি দোকানে নারী ক্রেতার ব্যাগ থেকে স্বর্ণের বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস চুরি করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামলে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে।

ভুক্তভোগী নারীর দাবি, তার ব্যাগে ২০ গ্রামের স্বর্ণের মঙ্গলসূত্র, ২১ গ্রামের স্বর্ণের নেকলেস লকেট, ১৩ গ্রাম এবং ৯ গ্রামে তৈরি দুটি স্বর্ণের ব্রেসলেটসহ নগদ ৪ হাজার টাকা ছিল।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিনেত্রী রূপার বাড়িতে পৌঁছায় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সব অভিযোগ অস্বীকার করলে পুলিশ রূপার বাড়িতে তল্লাসি চালায় এবং সব স্বর্ণের গয়না (৬২.৯৫ গ্রাম) উদ্ধার করে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রূপাকে আদালতে হাজির করা হলে জানা যায়, একসময় বিনোদন জগতে টিভি সিরিয়াল ও সিনেমায় কাজ করলেও এখন অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নেই তিনি। সংসার চালাতে তাই কয়েক বছর ধরেই এ পথ বেছে নিয়েছেন।

জানা যায়, অভিনেত্রী রূপা দত্ত এবারই প্রথম গ্রেপ্তার হননি। 

এর আগে ২০২২ সালে পকেটমারির অভিযোগে কলকাতা বইমেলা থেকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। বইমেলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে তল্লাশি চালালে তার কাছে পায় একাধিক মানিব্যাগ ও নগদ ৭৫ হাজার টাকা। পুলিশ এর কারণ জানতে চাইলে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি অভিনেত্রী।

টালিউডে অভিনয়ের পাশাপাশি এক সময় হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয় করেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন অভিনেত্রী রূপা দত্ত। 

তবে কাজের পরিবেশ না থাকার অভিযোগ করে ২০২০ সালে বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে ‘অশ্লীল বার্তা’ পাঠানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

img

মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত :  ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবার আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন। পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখার বিনিময়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, হুমকি-ধামকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মেহজাবীন এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (১৬ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ধার্য ছিল। তবে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা তানিয়া তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেবো কালকে দেবো বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপন করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব। এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেয়।

এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন।