img

সুদানের আল-ফাশির দখলে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে আরএসএফ : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ০৫:৩৯, ০২ নভেম্বর ২০২৫

সুদানের আল-ফাশির দখলে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে আরএসএফ : জাতিসংঘ

সুদানের পশ্চিম দারফুরের গুরুত্বপূর্ণ শহর আল-ফাশির দখলের পর শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা ও গুমের অভিযোগ উঠেছে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বর্ণনা করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাহায্যকর্মীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা শহর দখলের পর পুরুষদের নারী ও শিশুদের থেকে আলাদা করে নিয়ে যায়, এরপরই শোনা যায় গুলির শব্দ। অনেককে জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।

আল-ফাশির ছিল দারফুরে সুদানিজ সেনাবাহিনীর (এসএএফ) সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি। এর পতনে প্রায় আড়াই বছরের সুদানি গৃহযুদ্ধ নতুন মোড় নিয়েছে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রত্যক্ষদর্শী আলখেয়ার ইসমাইল জানান, আরএসএফ যোদ্ধারা উটে চড়ে কয়েকশ নিরস্ত্র পুরুষকে একটি জলাধারের পাশে নিয়ে গুলি চালায়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই হত্যাকাণ্ডগুলো স্পষ্টভাবে জাতিগত বিদ্বেষনির্ভর প্রতিশোধমূলক হামলা।

এদিকে, মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, পালানোর সময় প্রায় ৫০০ বেসামরিক ও সেনা সদস্যকে আরএসএফ হত্যা বা আটক করেছে। মুক্তিপণের বিনিময়ে আটকদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। মুক্তিপণের অঙ্ক ৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন সুদানিজ পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে।

আরএসএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘মিডিয়ার বাড়াবাড়ি’ বলে দাবি করেছে। বাহিনীর এক কমান্ডার জানান, বেসামরিক সেজে থাকা সেনাদের জেরা করা হয়েছে, তবে হত্যার অভিযোগ সত্য নয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আল-ফাশির দখলের পর অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকে পাশের তাওয়িলা শহরে আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে শরণার্থীরা ধর্ষণ ও সহিংসতার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছে।

আল-ফাশিরের পতনের ফলে সুদান এখন কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত—আরএসএফ দারফুর ও পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, আর সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুম ও পূর্বাঞ্চলে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলমান এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং কমপক্ষে দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতিমধ্যে দারফুরে আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, আল-ফাশিরে যা ঘটছে, তা জেনিনা ও দারফুরে আগের গণহত্যার পুনরাবৃত্তি।


img

দুর্ঘটনার কবলে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস, নিহত ৪২

প্রকাশিত :  ০৬:৪২, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:১০, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সৌদি আরবের মদিনার কাছে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ডিজেলভর্তি ট্যাংকারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী বাসটিতে থাকা ৪২ জন ওমরাহযাত্রী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাসটি মক্কা থেকে মদিনার পথে যাচ্ছিল।বাংলাদেশি সময় দিবাগত রাত ২টার দিকে মুফরিহাত এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাসটির বেশিরভাগ যাত্রীই ভারতের তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ থেকে ছিলেন। তারা মক্কায় ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মদিনার পথে ফিরছিলেন। 

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, যার ফলে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন ধরে গেলে তারা বেরিয়ে আসার খুব কম সুযোগ পেয়েছেন। 

এতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১১ জন নারী ও ১০টি শিশু রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ এখনো সঠিক সংখ্যা যাচাই করছে।

উদ্ধারকারী দলের মতে, বাসটি সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যাওয়ায় মৃতদের শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, মোহাম্মদ আব্দুল শোয়াইব নামে একজন ব্যক্তি বেঁচে আছেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

তেলেঙ্গানা সরকার জানিয়েছে, তারা রিয়াদের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডি দিল্লির কর্মকর্তাদের দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর