img

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের আয়কর নথি জব্দ

প্রকাশিত :  ১০:৩৪, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের আয়কর নথি জব্দ

সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তার স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক তানজিল আহমেদ এ তথ্য জানান।

প্রথম আবেদনে বলা হয়, আসামি আ হ ম মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন, ভোগদখল এবং নামীয় ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহভাজন অর্থ লেনদেন করে তা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

কাশমিরি কামালের বিরুদ্ধে করা আবেদন বলা হয়, স্বামী লোটাস কামাল অর্থ মন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রী থাকাকালে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৪৪ কোটি ১১ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে স্ত্রীর নামে অর্জন এবং ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন কাশমিরি। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামের ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ  টাকার মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।

আরেকটি আবেদন বলা হয়েছে, লোটাস কামাল মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে কন্যা কাশফি কামালের নামে অর্জন এবং নিজ ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ৩৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেনের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

নাফিসা কামালের আবেদন বলা হয়েছে, বাবা লোটাস মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত ৬২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বৈধ করার লক্ষ্যে নাফিসার নামে অর্জন এবং নিজ ভোগ দখলে রেখে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তিনিও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে সেই প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এসব অভিযোগের বিষয়ও তদন্তাধীন রয়েছে।

আবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আয়কর নথির স্থায়ী অংশ, বিবিধ অংশ ও এ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদন (যদি থাকে) ও নোটসিটসহ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি এবং অফিস আদেশের অংশ সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

img

২৮ নেতাকে ‘সুখবর’ দিল বিএনপি

প্রকাশিত :  ১৩:০৯, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৮ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. ছবদের হাসান, সাবেক সদস্য মো. আবুল হাশেম, খায়রুল আলম, মো. মনির হোসেন (মাটি মুনির); গাজীপুর মহানগরের বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন মনির, বাসন থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, বাসন থানার অন্তর্গত ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম রাতা, গাজীপুর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক সদস্য আনোয়ার সরকার, ১১, ১২, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজা আক্তার এবং ২৮, ২৯ ও ৩০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিনা আক্তার বীথি, ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. মাহাফুজুর রহমান, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাড. আলম; বরিশাল দক্ষিণ জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, দিনাজপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মো. রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু, কুমিল্লা উত্তর জেলাদীন মেঘনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন লন্ডনি, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলারা শিরিন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহসভাপতি এস এম আসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক টি এইচ তোফা, হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, টাঙ্গাইল জেলাধীন মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন সিদ্দিকী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন, ছাতক উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ইজাজুল হক রনিকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

আবেদনের প্রেক্ষিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য দিনাজপুর জেলাধীন ফুলবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. খুরশিদ আলমের (মতি) স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে বিএনপির স্বপদে বহাল করা হয়েছে।

এর আগেও বেশ কয়েকজন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিএনপি।