img

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত :  ০৮:২৭, ২৯ জুন ২০১৯

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

চোখের সৌন্দর্য মুখের ওপর বিরাট একটা প্রভাব ফেলে। সৌন্দর্যের বর্ণনায় চোখের সৌন্দর্যই সবার আগে। মানুষের চেহারার সবচেয়ে সুন্দর একটি অঙ্গ চোখ। এটি খুব বেশি স্পর্শকাতর। কিন্তু যদি সেই সুন্দর দুটি চোখের নিচে কালো দাগ বা আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল দেখা যায় তাহলে পুরো সৌন্দর্যেই ভাটা পড়ে যায়।
চোখের নিচের কালো দাগ সরাতে কয়েকটি টিপস 
১. খোসাসহ আলু বেঁটে চোখের নিচে লাগাতে হবে। তিন চার দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করুন। চোখের নিচে কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। তবে সাবধান রান্না ঘরের শিলপাটা দিয়ে বাটতে হলে দেখে নিন আগে লঙ্কা বাটা হয়েছে কি না! 
২. হাতের তর্জনী আঙ্গুলে দু\'ফোটা মুধু নিয়ে চোখের চারপাশে ধীরে ধীরে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা চোখের উপরের চামড়ার রোদে পোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
৩. শসা এবং আলু স্লাইস করে কেটে নিন। প্রথমে চোখ বন্ধ করে উপরে দুই টুকরো শসা লাগান। এভাবে ২০ মিনিট রাখুন। এবার একইভাবে আলুর স্লাইস চোখের উপর লাগান। অথবা শসা এবং আলু ব্লেন্ড করে নিন। দু\'টুকরো তুলা নিন। এবার ব্লেন্ড করা রস তুলাতে নিয়ে চোখে লাগাতে পারেন। এভাবে ১৫ - ২০ মিনিট রাখুন। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এটা করুন। আপনি নিজেই এর কারিশমা বুঝতে পারবেন।
৪. পুদিনা পাতার রস চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনা পাতার রস তুলাতে করে চোখের যে অংশে কালো দাগ আছে সেখানে লাগান। সাবধান থাকবেন যেন কোনভাবেই এই রস চোখের ভেতরে প্রবেশ না করে।
৫. গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে তুলার মধ্যে দু ফোটা গোলাপজল নিয়ে চোখের চার পাশে লাগান। এভাবে ১৫ মিনিট ম্যাসেজ করেন। দেখবেন চোখে কোমলতা ফিরে আসবে আর ক্লান্তি ভাব দূর হয়ে যাবে।
৬. এক টুকরো বরফ নিয়ে চোখের চারপাশে ধীরে ধীরে লাগান। চোখের কালো ভাব দূর করতে বরফ অসাধারণ কাজ করে।
৭. বাড়িতে অবসর সময়ে কচি শসা পেস্ট করে চোখের নিচে দিয়ে মাত্র ১০ মিনিট চিত হয়ে শুয়ে থাকুন।
৮. কমলার রসের সাথে দুই-এক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। এটা কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি চোখকে আরো উজ্জ্বল করে তোলে।
৯. ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে চারপাশে বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করুন। এটা চোখের নিচে কালো দাগ তুলতে খুব ভল কাজ করে। এছাড়া চোখের চামরা কুঁচকানোও দূর করে।
১০. টি ব্যাগ ব্যবহারের পর ফ্রিজে রেখে দিন। ঠাণ্ডা হলে বের করে চোখ বন্ধ করে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। প্রতিদিন ব্যবহারে আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।
১১. দিনে দুবার করে টম্যাটো আর লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ডার্ক সার্কেলের উপর লাগান।খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।
১২. ৫টি আমন্ড বাদাম অল্প একটু দুধ দিয়ে বাটুন।তারপর ক্ষতিগ্রস্ত-তে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।এক সপ্তাহ রোজ লাগালেই ফল দেখতে পাবেন।
১৩. আনারসের রস আর একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে একটি পেস্ট বানান, ১০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।
১৪. রাতে শোয়ার আগে চোখের চারপাশে ভিটামিন ই এবং সি সমৃদ্ধ ক্রিম লাগান।

img

হিট স্ট্রোক কেন হয়, জানুন লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে

প্রকাশিত :  ০৬:১৫, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:১৯, ২০ এপ্রিল ২০২৪

গরমের সময় হিট স্ট্রোক খুবই কমন একটি রোগের নাম । তাপদাহের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা  এবং বাতাসের আদ্রতার অনুপস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় তীব্র রোদে অবস্থান করলে অথবা শারীরিক পরিশ্রম করলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অতিরিক্ত গরমে বেশিক্ষণ পরিশ্রম করলেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক সময় ধীরে ধীরে এটি ঘটে থাকে, যদিও হঠাৎ করে ঘটার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই পরিবেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে ফলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

হিট স্ট্রোক কী?

হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোক এক ধরনের অসুস্থতা, যা অধিক গরমের কারণে হয়ে থাকে। তাপদাহের কারণে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা (৩৫-৪০ডিগ্রী সেলসিয়াস) এবং বাতাসের আদ্রতার অনুপস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি দীর্ঘ সময় তীব্র রোদে অবস্থান করলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাপজনিত তারতম্যের কারণে কোনো ব্যক্তির শরীরের স্বাভাবিক তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা এর বেশি হলে হিট স্ট্রোক হয়।


লক্ষণ

প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া

মাংসপেশীতে ব্যথা

অতিরিক্ত দুর্বলতা ও ঠোট, মুখ, জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া।

রক্তচাপ কমে যায় ও নাড়ীর স্পন্দন ক্ষীণ হতে থাকে

খিঁচুনি, মাথা ঘোরানো, চোখে ঝাপসা দেখা

মাথাব্যথা অনুভূত

বমি বমি ভাব

রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে

অতিরিক্ত ঘামও


প্রাথমিক চিকিৎসা

হিট স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণগুলো দেখা দিলেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। রোগীকে অপেক্ষাকৃত শীতল কোনো স্থানে নিয়ে যেতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। প্রচুর পানি বা খাওয়ার স্যালাইন পান করতে হবে। যথাসম্ভব শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিকার

হিট স্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গরমের এই সময়টায় তাই সাবধানে থাকতে হবে।

১. যারা বাইরে রোদে কাজ করে তাদের হিট স্ট্রোক এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমানে লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। এ সময় স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত, মাঠা বা ডাবের পানি খুবই উপকারী

২. গরমের দিনগুলোতে অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল বা সুগার ড্রিঙ্কস-গুলো শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে।

৩. ফল ও সবজি খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই ভালো

৪. হালকা রঙের ঢিলেঢালা ও সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বাইরে বের হলে ছাতা ও মাথায় টুপি ব্যবহার করুন।

৫. চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকুন, এতে শরীরের তাপ বৃদ্ধি পায়। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।