img

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৫

প্রকাশিত :  ১১:৩৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৭:৩৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

হাতিয়ায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ৫

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিতে ৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৮ থেকে ১০ জন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চর গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে, আলাউদ্দিন (৪০) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমান উল্যাহ গ্রামের ছেরাং বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে। অপর নিহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাগলার চরের জমি সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেয়নি। এ সুযোগে ৫ আগস্টের পর জাহাজমারা ইউনিয়নের ‘কোপা সামছু বাহিনী’ জাগলার চরের বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর সুখচর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বাহিনী জাগলার চরের জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন বাহিনী আরও বেশি দামে কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদা ভাবে চরের জমি বিক্রির চেষ্টা চালায়।

অভিযোগ রয়েছে, এরপর কোপা সামছু বানিহীকে চর থেকে বিতাড়িত করে চরের জমি দখলে নিতে ডাকাত আলাউদ্দিনের বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ একাধিকবার বিরোধে জড়ায়।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কোপা সামছু ও আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়।

এতে অপর পক্ষের ছোড়া গুলিতে আলাউদ্দিনসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ৪ জনের মরদেহ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, একটি মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।




img

বড়লেখায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই বন্ধু নিহত

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

দুই দিন আগে পুরোনো একটি মোটরসাইকেল কেনেন রিয়াদ আহমদ (২২)। ওই মোটরসাইকেলে বন্ধু জাবেদ আহমদকে (২০) নিয়ে সকালে বেড়াতে বের হয়েছিলেন। পথে ঘন কুয়াশার মধ্যে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত হন।

আজ বুধবার সকালে মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কে কুলাউড়ার আছুরিঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়াদ জুড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী নুরু মিয়ার ছেলে। আর জাবেদ একই উপজেলার জাঙ্গিরাই এলাকার মৃত দিলু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ উপজেলা সদরের শিশুপার্ক চত্বরে তাঁর বাবার ফলের দোকান চালাতেন। জাবেদ ও ভাইয়েরা সম্প্রতি উপজেলা সদরের কামিনীগঞ্জ বাজারে একটি কাপড়ের দোকান দেন। তিনি দুই দিন আগে ৭০ হাজার টাকায় একটি পুরোনো মোটরসাইকেল কেনেন। আজ সকাল সাতটার দিকে জাবেদকে সঙ্গে নিয়ে ওই সাইকেলে করে তিনি কুলাউড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘন কুয়াশা ছিল। আছুরিঘাট এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ফল বহনকারী পিকআপভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রিয়াদ ও জাবেদ মারা যান। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা–পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালেই কুলাউড়া থানায় ছুটে যান নুরু মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। বিলাপ করতে করতে নুরু মিয়া বলছিলেন, ‘সকালে দোকান খোলার কথা বলি বাড়ি থাকি বাইর হইল ছেলেটা (রিয়াদ)। বেড়াইতে গেছে জানতাম না। মোটরসাইকেল আমার ছেলের জীবনটা নিল।’

কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহিত মিয়া বেলা ১১টার দিকে বলেন, ঘন কুয়াশায় পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মারা গেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ এর আরও খবর