img

শরিকদের আরও ৮ আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

প্রকাশিত :  ০৯:১৯, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

শরিকদের আরও ৮ আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ও সমমনা দলগুলোর জন্য আরও ৮টি আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন।

যাদের সঙ্গে নির্বাচনি সমঝোতা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তারা নিজ নিজ প্রতীকে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

সমঝোতার আসনগুলোর মধ্যে বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নড়াইল-২ আসনে এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, যশোর-৫ আসনে ইসলামী ঐক্য জোটের মুফতি রশিদ বিন ওয়াক্কাস, পটুয়াখালীর-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঝিনাইদহ-৪ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ঢাকা-১২ আসনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

২০১৪ এবং ২০২৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। আর ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিলেও পুরোপুরি মাঠে থাকতে পারেনি দলটি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই পরিস্থিতিতে দলটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা অনেক বেশি। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে নির্যাতন–নিপীড়নের শিকার নেতাদের মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহও বেড়েছে। এসব কারণে এবার যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে সতর্কভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

শরিকদের সঙ্গে যেসব আসনে সমঝোতা হবে, সেখানে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। যেসব শরিক দলকে সমঝোতার মাধ্যমে নির্দিষ্ট আসন দেওয়া হবে, তারা কেবল সেগুলোতেই প্রার্থী হবেন, অন্য কোথাও না। এই শর্তে বিএনপি আসন সমঝোতা করতে চাইছে। এছাড়া বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করাকে বিএনপি বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাও নিজের দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও তার প্রার্থিতার বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক।

বিএনপি এ পর্যন্ত দুই দফায় ২৭২টি আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি থেকে সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের আসন ঠিক করা হবে। এর মধ্যে গতকাল জমিয়তকে চারটি আসন দেওয়া হয়।

সেগুলোর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক সিলেট-৫, দলের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি নীলফামারী-১, জুনায়েদ আল হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, মনির হোসেন কাসেমী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী হবেন।

এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।


img

ছাতক থেকে আ. লীগ ও যুবলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ছাতক থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছাতক উপজেলার ১১নং গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দগর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ (৫৪)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। অপর দু’জন হলেন ১৩নং ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী গ্রামের শাবাজ মিয়ার ছেলে মো. রুমেল আহমদ (৩০), যিনি ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং একই উপজেলার পাথারীপুর গ্রামের কাফরুল মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজি, সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ছাতক থানায় দায়েরকৃত এফআইআর নং–২৮, জি.আর. নং–২১৬ (তারিখ: ২২ জুলাই ২০২৫) অনুযায়ী The Special Powers Act, 1974-এর ১৫(৩)/২৫০ ধারায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে তাদের আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

জাতীয় এর আরও খবর