img

খাবারে রুচি বাড়ানোর ৭ টি পদ্ধতি

প্রকাশিত :  ০৯:০২, ০৭ জুলাই ২০১৯

খাবারে রুচি বাড়ানোর ৭ টি পদ্ধতি
বিভিন্ন কারণে খাবারে রুচি (appetite) কমে যায়। হতে পারে তা মানসিক অস্থিরতা, বিষণ্ণতা, জন্ডিস, জ্বর, পাকস্থলীর বা অন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি কারণে। খাবারে রুচি ফিরিয়ে আনাটা সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই জেনে নিন ৭টি পদ্ধতি যা অনুসরণ করলে খাবারের রুচি বাড়বে।
১. দিনের প্রধান খাবারকে ভাগ করুন ৬ ভাগে (Eat small, frequent meals)
 
আমাদের দেশে সাধারণত তিনটি প্রধান সময়ে মানুষ খাদ্য গ্রহণ করে। সকালে, দুপুরে এবং রাতে। এই খাবারের পরিমাণ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে যা স্বল্প রুচির ব্যক্তির জন্য গ্রহণ করাটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই দিনের খাবারকে ছোট ছোট ৬ টি ভাগে ভাগ করে নিন। এই পদ্ধতিতে খেলে নিজেকে ভারী মনে হবে না, এছাড়া ক্ষুধা বাড়বে। যাদের খাবারে একদমই রুচি (appetite) নেই, তারা নিজেদের পছন্দের সময়ে খাদ্য (diet) গ্রহণ করতে পারেন।
২. আপনার পছন্দের খাবারগুলোই রাখুন দৈনিক খাদ্য তালিকায় (Choose your favorite foods)
 
সাধারণত এদেশের মানুষ খুব একটা পছন্দের না হলেও বাসায় যা রান্না হয় তা ই খেয়ে নেয়। কিন্তু স্বল্প রুচির ব্যক্তিদের পক্ষে এ ব্যাপারটা বেশ কঠিন। তাই দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখুন আপনার পছন্দের খাবারগুলোই। তবে সে খাবারগুলো যদি ফ্যাট (fat) যুক্ত, তেলে ভাজা হয়ে থাকে তবে পরিমাণের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।
৩. খাবারে যুক্ত করুন ধনেপাতা, পুদিনা এবং বিভিন্ন মশলা (Use herbs and spices in cooking)
অনেক সময় খাবারের সুন্দর গন্ধই (food smell) মানুষের রুচি বাড়িয়ে তোলে। তাই খাবার তৈরির সময় এতে এমন মশলা ব্যবহার করুন যা সুঘ্রাণ তৈরি করে এবং স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। ধনে পাতা, পুদিনা এসবও খাবারের সুঘ্রাণ এবং স্বাদ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। সেই সাথে বাড়িয়ে দেয় ক্ষুধা (increase hunger)।
৪. আঁশযুক্ত খাবার কম গ্রহণ করুন (Eat less fiber)
যদিও আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য আঁশযুক্ত (fibre) খাবার অপরিহার্য, কিন্ত খাবারে রুচি বৃদ্ধি করার জন্য কিছুদিন আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ বন্ধ রাখা যেতে পারে। আঁশযুক্ত খাবার হজম (digest) হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে যা আমাদের ক্ষুধাবোধকে দমিয়ে রাখে। ভাত, আলু, ইত্যাদি খাবারের পরিবর্তে আটার রুটি প্রধান খাবার হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এ অবস্থায় থাকা উচিত নয়, কারণ শরীর অন্যান্য চাহিদা পূরণে আঁশযুক্ত খাবারের কোন বিকল্প নেই।
৫. খাবার সময়গুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলুন (Make meal times pleasant)
খাবারের রুচি বাড়াতে পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যতটা সম্ভব আকর্ষণীয় করে তুলুন খাওয়ার সময়টা। জ্বালিয়ে নিতে পারেন মোমবাতি, টিভিতে দেখতে পারেন প্রিয় কোন অনুষ্ঠান যা আপনার রুচি বাড়িয়ে তুলবে। খাবার টেবিলে অস্বস্তিকর আলোচনা সর্বাবস্থায় পরিহার করুন।
৬. পরিবার বা বন্ধুদের সাথে খাওয়ার অভ্যাস করুন (Avoid eating alone)
একা খাওয়ার চেয়ে পরিবারের সবাই বা বন্ধুদের সাথে খাওয়া অনেক বেশি আকর্ষণীয়। খাওয়ার সময় তাদের সাথে গল্প করলে আপনার খাওয়ার মূহুর্ত হয়ে উঠবে আনন্দময়, ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে আপনার রুচিও।
৭. খাওয়ার সময় বড় প্লেট ব্যবহার করুন (Use large plates)
বড় প্লেটে স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খেলেও আপনার মনে হবে পরিমাণের চেয়ে কম খেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই আরেকটু বেশি খাওয়ার ইচ্ছা জাগবে। ছোট প্লেটের তুলনায় বড় প্লেট বেশি খাবার খেতে মানুষকে উৎসাহিত করে। তাই যাদের খাবারে রুচি (appetite) কম, তারা বড় প্লেটে খাবার গ্রহণ করুন।
img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।