img

তিতাসের করুণ মৃত্যু ও ভিআইপি চাকরদের

প্রকাশিত :  ২১:২৫, ২৯ জুলাই ২০১৯
সর্বশেষ আপডেট: ২১:৪১, ৩০ জুলাই ২০১৯

তিতাসের করুণ মৃত্যু ও  ভিআইপি চাকরদের

নাজমুল ইসলাম

----------------------------------------------------------

প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ মালিক জনগণ। দেশের সকল শ্রেণির সরকারি চাকরিজীবীর বেতন-ভাতা-খোরাকি আসে জনগণের ঘামঝরা টাকা থেকে। তা আক্ষরিক অর্থে তারা জনগণের  চাকরি করেন। সোজা কথায় তারা চাকর, জনগণ তাদের মনিব। এই সংজ্ঞার কোনও অন্যথা নেই, তিনি যত বড় চাকরই হোন না কেন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সরকারি চাকুরেরা আপন দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে দেশের প্রতিটি নাগরিককে  যথোপোযুক্ত সম্মান করতে মোটেও কুণ্ঠিত হন না। বিপত্তি কেবল আমাদের মত হতভাগ্য জাতির দেশে, যারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছে; আজ তারা দলিত, নিষ্পেষিত, বঞ্চিত ।  

সম্প্রতি একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে তিন ঘণ্টা ফেরি আটকে রাখার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত। আর সেই কারণে নদী পার হতে পারেনি মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স। শেষ পর্যন্ত ওই কর্মকর্তার গাড়ি এলো। অ্যাম্বুলেন্স জায়গাও পেলো। কিন্তু রোগীর জীবন রক্ষা পেলো না। তিনি ফেরিতেই মারা গেলেন। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতের।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ওই কর্মকর্তাকে পার করার জন্য ফেরি আটকে রাখেন মাদারীপুর জেলার ডেপুটি কমিশনার। ফেরিঘাটের কর্মকর্তাসহ অনেক পর্যায়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীর স্বজনরা ফোন করেও ফেরিটি নড়াতে পারেননি। এমনকি তারা পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেও কোনও ফল পাননি। একজন মুমূর্ষু রোগীর জীবনের চেয়ে ওই ‘ভিআইপি’ সরকারি কর্মকর্তাই গুরুত্বপূর্ণ হলেন তাদের কাছে। জীবন গেলেও তারা পদকে সর্বোচ্চ ‘সম্মান’ দেখিয়েছেন।

আগে রোগী না ভিআইপি? এই প্রশ্নটি অনেক দিন ধরেই উঠছে আমাদের দেশে। অ্যাম্বুলেন্স আটকে কি ভিআইপি চলাচল করবেন? পৃথিবীর কোনও দেশেই রোগীর চেয়ে ভিআইপিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আর একজন যুগ্ম সচিব কি ভিআইপি? সরকারি চাকুরেরা আবার ভিআইপি হন কীভাবে?


একজন সরকারি চাকুরে তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। প্রজাতন্ত্রের চাকর। তিনি কোনোভাবেই শাসক নন। নাগরিকদের সার্ভিস দেওয়াই তার কাজ। নাগরিকদের ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়। তাই তাদের মনে রাখা উচিত তারা নাগরিকদের চাকর, চাকুরে। কিন্তু বাস্তবে এই দেশে এখন ভৃত্য মনিব হয়েছে। মনিবকে ভৃত্য বানানো হয়েছে। চাকর মালিক হয়েছে। মালিক হয়েছে চাকর।


এই দেশটি যেন উল্টো পথে হাঁটছে। চাকরের পদের সঙ্গে প্রশাসক লাগানো হচ্ছে। নাগরিকদের শাসক হয়ে উঠছেন তারা। সংবিধান আর আইনের এই বিপরীত অবস্থা কোনোভাবেই একটি সুশীল ও নাগরিকবান্ধব রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে না।


যে রাষ্ট্র নাগরিকের, সেটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রে নাগরিকদের সঙ্গে চাকরের মতো আচরণ করা হয়, সেটা লুটেরাদের রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্র লুটেরাদের দখলে চলে গেছে। তারা নাগরিকদের অর্থ লুটে নেয়। নাগরিকদের ট্যাক্স নেয়। কিন্তু নাগরিকদের কিছু দেয় না। উল্টো শোষণ করে। এটা হলে আমাদের এই রাষ্ট্র যাত্রা সংস্কার করতে হবে।


আমি মনে করি রাষ্ট্রের অনেক বিষয়েই ধোঁয়াশা আছে। আর তার সুযোগ নিচ্ছেন সরকারি চাকুরেরা। তারা নাগরিকদের ট্যাক্সের পয়সায় বেতন নিয়ে আবার নাগরিকেদর প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধাও দখল করছেন। তারা দিন দিন শাসক হওয়ার সব পথ প্রশস্ত করছেন। তারাই হয়ে উঠছেন রাষ্ট্রের মালিক। আর এটা অব্যাহত থাকলে এই রাষ্ট্র আর এই সমাজে একসময় আর নাগরিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সবাইকে ভৃত্য বানিয়ে একটি ক্ষুদ্রগোষ্ঠী তাদের ওপর ছড়ি ঘোরাবে। দেশটা একটা প্রশাসনিক রাষ্ট্রে পরিণত হবে।


এসব কথা বাদ দিলেও যদি মানবিক দিক দিয়ে ভাবি? সড়ক দুর্ঘটনায় আহত একজন মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স কি আটকে রাখা যায়! বড় কর্তার জন্য কি আটকে রাখা যায় ফেরি, যেখানে জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। জীবনের চেয়ে কি ‘ভিআইপি’ বড়? এই মানবিক বোধও কি এই প্রজাতন্ত্রের চাকররা হারিয়ে ফেলছেন?

লেখক: প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, নির্বাহী সম্পাদক- জনমত

মতামত এর আরও খবর

img

গাজা যুদ্ধ বন্ধে বাইডেন কেন এতটা মরিয়া

প্রকাশিত :  ১১:৪১, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৮, ১২ মে ২০২৪

জনাথন ফ্রিডল্যান্ড

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হবেন কি না তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্বেগ একেবারে প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। জো বাইডেনের পরামর্শ বারবার উপেক্ষা করে আসছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এই উপেক্ষার মূল্য কী হতে পারে, এই সপ্তাহে ইসরায়েল সেটা দেখতে পেল।

ইসরায়েলের ৩ হাজার ৫০০ বোমার চালান আটকে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই অস্ত্র ইসরায়েল গাজার দক্ষিণের শহর রাফা আক্রমণে ব্যবহার করবে, সেই বিবেচনায় অস্ত্রের চালানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাফায় এখন ১০ লাখের বেশি শরণার্থীর আশ্রয়শিবির।

ইসরায়েলের প্রতি জো বাইডেন তাঁর ‘লৌহদৃঢ়’ সমর্থন থেকে সরে আসছেন না। কিন্তু ইসরায়েল রাফা হামলার জন্য যে হুমকি দিয়ে চলেছে, সেটা সফল করতে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করবেন না। সিএনএনকে বাইডেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা দেওয়া থেকে আমরা সরে আসছি না। অন্যখানে যুদ্ধ করার সক্ষমতা তৈরির পথ থেকে সরে আসছি আমরা।’

ইসরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিন বলতেন, তাঁর দেশের ১ নম্বর কৌশলগত সম্পদ এই সব অস্ত্র, এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র নয়; বরং ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক। দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের জোগানদাতা ও কূটনৈতিক অভিভাবক। 

কিন্তু মাত্র ছয় সপ্তাহের ব্যবধানে ওয়াশিংটন এমন দুটি পদক্ষেপ নিল, যা পুরোপুরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গেল। গত মার্চ মাসে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইসরায়েল প্রস্তাবটি আটকে দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়। আর এখন তো ওয়াশিংটন অস্ত্রের চালান আটকে দিল।

এর থেকেও বড় বিষয় হলো, এই সিদ্ধান্তগুলো এমন একজন রাজনীতিবিদ নিয়েছেন, যিনি ব্যক্তিগতভাবে ইসরায়েলের খুব নিবেদিতপ্রাণ সমর্থক। বাইডেন সেই যুগের একজন ডেমোক্র্যাট, যখন দুই সহস্রাব্দের নির্বাসন ও শাস্তির পর মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের আদি বাড়ি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গতি পেতে শুরু করেছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থীদের চোখ তখন রহস্যজনকভাবে বন্ধ ছিল।  

গোল্ডা মেয়ার থেকে শুরু করে ইসরায়েলের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেন দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতি বাইডেনের টান বাড়ার ক্ষেত্রে এর একটার ভূমিকা আছে। পূর্বতন প্রেসিডেন্টদের মতো বাইডেনের ইসরায়েলের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ শুধু নির্বাচনী হিসাব-নিকাশের বিষয় নয়।  

গাজা নিয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। কেননা, নেতানিয়াহু কিংবা সিনাওয়ারা কেউই বিশ্বাস করেন না, চুক্তি করলে তাঁদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন, ‘এই সংঘাত বন্ধে একটি পক্ষেরই কেবল সত্যিকারের তাড়া আছে, সেই পক্ষটি হলেন জো বাইডেন।’

অন্যদিকে ১৯৮০-এর দশকে নেতানিয়াহু প্রথম আলোচনার পাদপ্রদীপে উঠে আসেন। তিনি এমন একজন কূটনীতিক, যিনি আমেরিকানদের সঙ্গে সাবলীলভাবে কথা বলতেন। সে সময় থেকেই তিনি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দাঁড় করান। ইসরায়েলের একজন হবু নেতার জন্য এই দক্ষতা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। 

কয়েক দশক ধরে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর ভোটারদের এই বার্তা দিয়ে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যকার সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনিই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি।

কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা এখন কী দাঁড়াল?  চার দশকের বেশি সময়ের মধ্যে বাইডেনই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করলেন। (১৯৮২ সালে ইসরায়েলের লেবানন অভিযানের সময় রোনাল্ড রিগ্যান যুদ্ধবিমান দিতে বিলম্ব করেছিলেন।) বাইডেন কেন এটা করলেন? কারণ, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে এমন তিক্ততা তৈরি করেছেন, যেটা আগে দেখা যায়নি।

ইসরায়েলের প্রতি যে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের নিরেট সমর্থন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেভাবে ছাত্র আন্দোলন আছড়ে পড়েছে, সেটা বিস্ময়করই। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা গ্যালাপের মার্চ মাসের জরিপ বলছে, ৫১ শতাংশ ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে, ২৭ শতাংশ সমর্থন দিয়েছে ফিলিস্তিনের পক্ষে। কিন্তু ডেমোক্র্যাট ও তরুণ জনগোষ্ঠী—দুই ক্ষেত্রেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমর্থন অনেকটাই বেড়েছে।

জরিপের এই তথ্য বাইডেন ও তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা দলকে চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। এই অংশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনই ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে ভূমিকা রেখেছিল। গাজাবাসীর দুর্ভোগ সেই ভোটারদের সমর্থন অনিশ্চিত করে তুলেছে। হোয়াইট হাউস নেতানিয়াহুর কাছে পরিকল্পনা চেয়েছিলেন, বেসামরিক জনসাধারণকে হতাহত না করে কীভাবে রাফায় অভিযান করতে পারে ইসরায়েল। 

কিন্তু নেতানিয়াহু সেই পরিকল্পনা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে ইসরায়েলকে থামানোর জন্য অস্ত্রের চালান আটকে দেওয়ার সরাসরি পথ বেছে নিয়েছে ওয়াশিংটন।

রাফা বাইডেনের জন্য শক্তি পরীক্ষার জায়গাও হয়ে উঠেছে। বাইডেন রাফাকে বিপদরেখা হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। নেতানিয়াহু যদি সেই বিপদরেখা অতিক্রম করেন, তাহলে বাইডেন দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

কিন্তু নেতানিয়াহু এখন পর্যন্ত রণেভঙ্গ দিতে অস্বীকার করেছেন। ইসরায়েলের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সামনে রেখে জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ছাড়া আমরা একাই লড়ে যাব। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।’ 

নেতানিয়াহু চার্চিলের মতো আওয়াজ তুলতে চাইছেন। কিন্তু তাঁর কথাগুলো দুর্বলের কণ্ঠস্বর, সবলের নয়। ওয়াশিংটন চায়, নেতানিয়াহু যেন রাফা অভিযান থেকে সরে আসেন। কিন্তু জোট সরকারের অতি ডানপন্থী মিত্ররা তাঁকে আরও কঠোর হতে বলছেন, রাফা অভিযানের মাধ্যমে হামাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি বিজয়ের জন্য বলছেন।

এই নিরানন্দ নাটকে বাইডেন ও নেতানিয়াহুই কেবল কুশীলব নন; হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনাওয়ারেরও নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নেতা হিসেবে টিকে থাকার সংকল্প রয়েছে। খুব ঘনিষ্ঠভাবে যাঁরা সিনাওয়ারকেও পাঠ করেছেন তাঁরা বিশ্বাস করেন, নির্দোষ মানুষের জীবন রক্ষা করা তাঁর অগ্রাধিকার নয়; বরং যত বেশি গাজাবাসী নিহত হবেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে তাঁর শত্রু ইসরায়েলে অবস্থান ততই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই পরিস্থিতি তাঁকে বিজয়ী দাবি করতে সহায়তা করবে। সম্প্রতি হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নেওয়ার ঘোষণার পেছনে সিনাওয়ারের এই ভাবনায় কাজ করেছে। 

সিনাওয়ারা সাময়িক কোনো যুদ্ধবিরতি (তাতে অনেক মানুষের প্রাণরক্ষা হয়, দুর্ভোগ কমে) চান না, তিনি চান স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। আর তার জন্য সিনাওয়ারা অপেক্ষা করতেও রাজি।

গাজা নিয়ে কোনো চুক্তি হচ্ছে না। কেননা, নেতানিয়াহু কিংবা সিনাওয়ারা কেউই বিশ্বাস করেন না, চুক্তি করলে তাঁদের স্বার্থ রক্ষিত হয়। যেমনটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যারন ডেভিড মিলার বলেছেন, ‘এই সংঘাত বন্ধে একটি পক্ষেরই কেবল সত্যিকারের তাড়া আছে, সেই পক্ষটি হলেন জো বাইডেন।’


জনাথন ফ্রিডল্যান্ড, ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খ্যাতিমান কলামিস্ট

মতামত এর আরও খবর