img

বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা সদস্য নেবে কাতার : প্রেসসচিব

প্রকাশিত :  ১০:৪৩, ২২ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা সদস্য নেবে কাতার : প্রেসসচিব

পারস্য উপসাগরীয় দেশ কাতার বাংলাদেশ থেকে সেনা সদস্য নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাতারের দোহায় আর্থনা সামিটের সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে এ কথা কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, গালফ যুদ্ধের সময় থেকেই কুয়েতে বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কাতার আমাদের জানিয়েছে, তারাও বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সেনা সদস্য নেবে।

স্থায়ীভাবে প্রতি তিন বছর পর পর একটা ব্যাচ আসবে। আমরা চাচ্ছি যেন এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১৬০০ বা আরো বেশি যাতে করা যায়। আমাদের সামরিক সচিব এবং এসএসএফ প্রধান আমাকে আজ সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন।

শফিকুল আলম বলেন, আজকে আরেকটা বড় মিটিং আছে কাতারের জ্বালানি মন্ত্রীর সঙ্গে। কাতার হচ্ছে পৃথিবীতে এলএনজির জন্য এক নম্বর দেশ।

কাতারের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি আছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি কিন্তু আমরা চাইছি আরো অনেক বেশি এলএনজি আমদানি করতে। কারণ প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগকারী আমাদের জানাচ্ছে যে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে থাকা ৬০০ প্রতিষ্ঠানই নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেছে। আমাদের নিজস্ব গ্যাস তো কমে যাচ্ছে।

সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো সুন্দর করতে চাইছে, যাতে করে এলএনজি ভালো মূল্যে পাওয়া যায়, জানান শফিকুল আলম।

প্রেসসচিব বলেন, কাতারের কাছে পতিত স্বৈরাচার প্রচুর টাকা দেনা রেখে গেছে। কয়েক শ মিলিয়ন দেনা তারা দেয়নি। এতে দেখা গেছে, কাতারের সঙ্গে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। আমাদের সরকার এসে পুরো টাকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখন ৩৭ মিলিয়ন ডলারের মতো দেনা আছে আমার জানা মতে।


img

দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত :  ১৪:২৬, ২০ মে ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৮, ২০ মে ২০২৫

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বড় বড় বিভিন্ন ঘটনা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর নেওয়া প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি।


জাতীয় এর আরও খবর