img

অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের

প্রকাশিত :  ১২:৩৪, ০৪ জুন ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:০৯, ০৪ জুন ২০২৫

 অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন ।

আজ বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসাইন বলেন, “শেয়ারবাজার ধ্বংসে এই দুইজন আজরাইল হিসেবে এসেছেন। তাদের অপসারণই হবে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঈদের সবচেয়ে বড় উপহার।”

তিনি অভিযোগ করেন, রাশেদ মাকসুদ অ্যাসোসিয়েশনকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকতে না দিয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসনের দোসর হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তবে বাস্তবে তিনি ও অর্থ উপদেষ্টা নিজেরাই সেই স্বৈরাচারের অনুগত হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ইকবাল হোসাইন বলেন, “বর্তমান বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য কিছুই রাখা হয়নি—এ যেন ‘অশ্বডিম্ব’। এই বাজেট ঘোষণার পরপরই বাজারে ধস দেখা দেয়। অথচ বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসই বাজারবান্ধব বাজেট বলে প্রচারণা চালাচ্ছে, যা আমাদের কাছে নিছক দালালি।”

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, শেয়ারবাজারে আস্থার সঙ্কট টাকা নয়, নেতৃত্ব ও নীতির ব্যর্থতার ফসল। আস্থা ফিরলে বাজারে অর্থের অভাব হবে না।

সংগঠনটি তাদের দাবির মধ্যে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স বাতিল, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং যারা ৫০ শতাংশের বেশি লোকসানে রয়েছেন, তাদের আইসিবি’র মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবও উত্থাপন করে।

অর্থনীতি এর আরও খবর

img

শেয়ারবাজারে কারসাজি: সাকিবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত :  ১৪:৫০, ১৭ জুন ২০২৫

শেয়ারবাজার থেকে শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলার বাদি দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন। 

এ মামলার প্রধান আসামি সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক ও শেয়ার বাজারের আলোচিত ব্যক্তি মো. আবুল খায়ের (হিরু)। দ্বিতীয় আসামি সাকিব আল হাসান। অন্যান্য আসামিরা হলেন- কাজি সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।

দুদক জানায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্রুত আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে শেয়ারবাজারে প্রচলিত আইন ও বিধি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা) লঙ্ঘন করেছেন।

তারা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও একাউন্টে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন,  প্রতারণামূলক একটিভ ট্রাডিং, গেম্বলিং, ও স্পেকুলেশন-এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে বাজারে কারসাজি করেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হারান।

এই পদ্ধতিতে ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা ‘অপরাধলব্ধ অর্থ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এর মধ্যে আবুল খায়ের (হিরু) তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকার উৎস গোপন করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন।

এছাড়া তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক একাউন্টে মোট ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক জানায়, আসামি মো. আবুল খায়ের (হিরু) কর্তৃক শেয়ার বাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স লি., ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লি. এবং সোনালী পেপারস লি.-এর শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেন। এতে সাকিব মার্কেট ম্যানুপুলেশনে সরাসরি সহায়তা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে শেয়ার বাজার থেকে আত্মসাৎ করেন।

দুদক জানায়, শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় কমিশনের অনুমোদনক্রমে আসামিদের বিরুদ্ধে  ২০১২ এর ৪ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/১২০(বি)/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।