img

সাংবাদিকতার মানদণ্ড বহন করছে না রয়টার্স: উপ-প্রেস সচিব

প্রকাশিত :  ০৫:৪৫, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫১, ০১ নভেম্বর ২০২৫

সাংবাদিকতার মানদণ্ড বহন করছে না রয়টার্স: উপ-প্রেস সচিব

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের অতীতের সাংবাদিকতার মানদণ্ড বহন করছে না বলে মন্তব্য করেছেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। বিশেষ করে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের একাধিক প্রতিবেদনে ভুল, পক্ষপাত ও উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। 

গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) স্যোশাল মিডিয়ায় এক স্ট্যাটাস পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে আজাদ মজুমদার লিখেছেন, ‘আমি রয়টার্সের সঙ্গে সাত বছর ধরে কাজ করেছি এবং তাই আমি এর সম্পাদকীয় শৈলী এবং পেশাদার নীতির সাথে ভালভাবে পরিচিত। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সংস্থাটি তাদের সাংবাদিকদের জন্য যে উচ্চ মান নির্ধারণ করেছে তা থেকে বিচ্যুত হয়েছে- একটি প্রবণতা যা বাংলাদেশের কভারেজে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রকট হয়ে উঠছে। গত দেড় বছর ধরে রয়টার্স বাংলাদেশ রিপোর্ট করতে কমপক্ষে তিনটি গুরুতর ভুল করেছে।

প্রথমে, এটি একটি জাল উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে যখন একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে, মিথ্যাভাবে শিকারকে একজন আটক প্রাক্তন ইস্কন নেতার আইনজীবী হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে।

দ্বিতীয়, একই গল্পে, রয়টার্স একটি ভিডিও ক্লিপ ব্যবহার করেছে যার সাথে ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। উভয় ক্ষেত্রে, রয়টার্স পরে তার ভুল স্বীকার করে, নিবন্ধ সংশোধন করে, এবং ভিডিওটি প্রত্যাহার করে নেয়। তবে, এই ভুলগুলি দাঙ্গার মত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে সাহায্য করার সত্ত্বেও, এটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো প্রকাশ্যে ক্ষমা চায় না।

তৃতীয়ত, প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরের সময় রয়টার্স প্রথমে জানিয়েছে যে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ মিয়ানমারে যৌথ শান্তি মিশন পাঠাতে সম্মত হয়েছে। এটা সম্পূর্ণই মিথ্যা ছিল। বাংলাদেশ কখনো এ ধরনের মিশনের প্রস্তাব বা সম্মতি দেয়নি; এই ধারণাটি একমাত্র মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমই তুলে ধরেন। বিশেষ করে কুয়ালালামপুরে প্রস্তাবটি করা হয়েছিল, তবুও ঢাকা থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আমিই শেষ ব্যক্তি যিনি বিশ্বাস করেন যে রয়টারের কুয়ালালামপুরে একজন প্রতিনিধি বা স্ট্রিংগারের অভাব আছে।

আমরা রয়টার্স সম্পাদকদের দৃষ্টিগোচর করার পর, তারা কোনও ক্ষমা বা স্পষ্টীকরণ ছাড়াই চুপচাপ গল্পটি সংশোধন করে ফেলেছে।

এই ধরনের বারবার ভুল আমাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে যে রয়টার্স এখন আর সাংবাদিকতার আদর্শ বহনকারী নয়। এর যে কোন প্রতিবেদন-বিশেষ করে যেগুলি শুধুমাত্র ইমেল চিঠিপত্রের উপর ভিত্তি করে এবং রিয়েল-টাইম ছবির অভাব আছে-তাই অবশ্যই সন্দেহের চোখে দেখা উচিত।’


জাতীয় এর আরও খবর

img

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত :  ০৯:২০, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২৬, ০১ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের গণভোট আয়োজনের সুযোগ নেই। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই তৈরি করেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা না করার আহ্বানও জানান তিনি।

শনিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিলেন। জাতি সেটা ভোলেনি।

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

আমরাই সংস্কারের পক্ষে। পিআর হবে কি না সে সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নেবে। পিআর না হলে নির্বাচন হবে না এ কথা বলে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।  এ সময় সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে বসে বিভিন্ন মিডিয়াকে শেখ হাসিনা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন।

শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করতে চাই। কারণ তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

জাতীয় এর আরও খবর