img

বড়লেখায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই বন্ধু নিহত

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

বড়লেখায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, দুই বন্ধু নিহত

দুই দিন আগে পুরোনো একটি মোটরসাইকেল কেনেন রিয়াদ আহমদ (২২)। ওই মোটরসাইকেলে বন্ধু জাবেদ আহমদকে (২০) নিয়ে সকালে বেড়াতে বের হয়েছিলেন। পথে ঘন কুয়াশার মধ্যে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত হন।

আজ বুধবার সকালে মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক সড়কে কুলাউড়ার আছুরিঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়াদ জুড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী নুরু মিয়ার ছেলে। আর জাবেদ একই উপজেলার জাঙ্গিরাই এলাকার মৃত দিলু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ উপজেলা সদরের শিশুপার্ক চত্বরে তাঁর বাবার ফলের দোকান চালাতেন। জাবেদ ও ভাইয়েরা সম্প্রতি উপজেলা সদরের কামিনীগঞ্জ বাজারে একটি কাপড়ের দোকান দেন। তিনি দুই দিন আগে ৭০ হাজার টাকায় একটি পুরোনো মোটরসাইকেল কেনেন। আজ সকাল সাতটার দিকে জাবেদকে সঙ্গে নিয়ে ওই সাইকেলে করে তিনি কুলাউড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘন কুয়াশা ছিল। আছুরিঘাট এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ফল বহনকারী পিকআপভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রিয়াদ ও জাবেদ মারা যান। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা–পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালেই কুলাউড়া থানায় ছুটে যান নুরু মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। বিলাপ করতে করতে নুরু মিয়া বলছিলেন, ‘সকালে দোকান খোলার কথা বলি বাড়ি থাকি বাইর হইল ছেলেটা (রিয়াদ)। বেড়াইতে গেছে জানতাম না। মোটরসাইকেল আমার ছেলের জীবনটা নিল।’

কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহিত মিয়া বেলা ১১টার দিকে বলেন, ঘন কুয়াশায় পিকআপভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মারা গেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

img

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ০৯:২৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অধিযাচনের (অনুরোধ) ভিত্তিতে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে জিএমপিতে হস্তান্তর করা হয়।

জিএমপির একটি সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করে। পরে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে টঙ্গী পূর্ব থানা থেকে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আটকাদেশ ছিল। ডিএমপি আটকের পর আমাদের কাছে দেয়, এরপর আমরা তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠাই।

বাংলাদেশ এর আরও খবর