img

ছাতক থেকে আ. লীগ ও যুবলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

 ছাতক থেকে আ. লীগ ও যুবলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ছাতক থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ছাতক উপজেলার ১১নং গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দগর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ (৫৪)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। অপর দু’জন হলেন ১৩নং ভাতগাঁও ইউনিয়নের ঝিগলী গ্রামের শাবাজ মিয়ার ছেলে মো. রুমেল আহমদ (৩০), যিনি ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং একই উপজেলার পাথারীপুর গ্রামের কাফরুল মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজি, সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ছাতক থানায় দায়েরকৃত এফআইআর নং–২৮, জি.আর. নং–২১৬ (তারিখ: ২২ জুলাই ২০২৫) অনুযায়ী The Special Powers Act, 1974-এর ১৫(৩)/২৫০ ধারায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তে তাদের আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।

img

গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ডেকে নিয়ে ইটভাটায় কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ১২:২৫, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজীপুরের শ্রীপুরে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর নেতা ফরিদ সরকার (৪১)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে নেওয়ার পর তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। আজ বুধবার ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কেবিএম ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে।

ফরিদ সরকার শ্রীপুর উপজেলায় গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন জাসাসের যুগ্ম সম্পাদক। 

নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ফরিদ গোসিংগার কেবিএম ব্রিকসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। তার ফোনে কল করে তাকে ইটভাটায় ডেকে নেওয়া হয়। সে ওই ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করতো। এক স্বজনের মাধ্যমে জানতে পারি, ফরিদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ইটভাটায় গিয়ে দেখতে পাই, ফরিদ মাটিতে পড়ে আছে। তার গায়ে ধাঁরালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

ইটভাটার কর্মচারী জাকির হোসেন এবং মিনারুল জানান, রাত ২টার দিকে ইট ভাটায় কাজ করছিলাম। এসময় ফরিদ ইট ভাটায় আসেন। রাত ৩টার দিকে চারজন রাম দা ও লাঠি নিয়ে ইটভাটায় এসে ফরিদকে কোপানো ও পেটানো শুরু করে। আমরা ভয়ে ভাটার পাশেই আমাদের থাকার ঘরে চলে যাই এবং দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকি। তখন শুধু কান্না শব্দ শুনতে পাই।’ 

কেবিএম ব্রিকসের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) প্রদীপ সরকার বলেন, ‘আমি অফিস কক্ষে ঘুমিয়েছিলাম। ভোররাত ৪টার দিকে কথা কাটাকাটি ও চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি, একটি ছেলে অফিসের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।’ 

গোসিংগা ইউনিয়নের ৬নং ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম রফিক বলেন, ‘রাতে ইটভাটার ম্যানেজার আমাকে ফোন দিয়ে জানান, ফরিদ সরকারকে কারা যেন কুপিয়ে ও পিটিয়েছে। তখন ফরিদ মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছিল। পরে আমি ফরিদের নিকট আত্মীয় সবুজ মেম্বারকে জানাই। তিনি ফরিদের পরিবারের সদস্যদের জানান।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমদ বলেন, ‘ইটভাটায় হত্যার ঘটনার কিছু আলামত পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে ‘


জাতীয় এর আরও খবর