img

রাষ্ট্রপতির ‘সেকেন্ড হোম’, যা বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত :  ১৪:১০, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৩৪, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রপতির ‘সেকেন্ড হোম’, যা বলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত বিষয়টি সংবেদনশীল। এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না বলেও জানিয়েছেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, এটার মধ্যে আইনগত দিক আছে, রাষ্ট্রপতির নিজের ব্যাপার আছে। এটা নিয়ে নাড়াচাড়া করা আমার কাজ নয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, এটা নিয়ে চাইলে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছু করতে পারে। এটা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে। জুলকারনাইন সায়ের তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বেশ কিছু ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সেকেন্ড হোম রাষ্ট্রপতি’।

এদিকে সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্কের পথে বড় বাধা সীমান্ত হত্যা। এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ভালো করার অন্তরায়।

সর্বশেষ গতকাল সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫) নামের এক কিশোর বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়। এ সময় ওই কিশোরের বাবা মহাদেব সিংহসহ আরেকজন আহত হন।

গত ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্তে স্বর্ণা দাস নামে আরেক কিশোরী নিহত হন। এ ঘটনার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।

উল্লেখ্য, সীমান্ত হত্যা বন্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতকে উদ্বেগের কথা জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। তারপরও বন্ধ হচ্ছে না এই হত্যাকাণ্ড।

সীমান্তে হত্যা নিয়ে আরও এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটি দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ করে। যখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় বলা হতো, তখনও সীমান্ত হত্যা হতো।

রোহিঙ্গা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই হাজার রোহিঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। বছরে ২০ হাজার করে ১০ বছরে ২ লাখ রোহিঙ্গাকে নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।


img

মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি সরকার: প্রেস সচিব

প্রকাশিত :  ১২:৪৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রাখাইনে করিডোর দেওয়া নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সরকার জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি। আমাদের অবস্থান হলো- যদি জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তবে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, রাখাইন রাজ্যে বর্তমানে চরম মানবিক সংকট বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সবসময়ই সংকটকালে অন্যান্য দেশকে সহায়তা করেছে, যেমন সম্প্রতি মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর আমরা যে মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছি। আমরা এ বিষয়েও উদ্বিগ্ন যে, রাখাইনে মানবিক দুর্দশা অব্যাহত থাকলে তা বাংলাদেশে নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল নামার কারণ হতে পারে, যা আমরা আর বহন করতে পারব না।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জাতিসংঘের সহায়তায় মানবিক ত্রাণসহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইনে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র কার্যকর রুট হচ্ছে বাংলাদেশের মাধ্যমে। এ পথে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা দিতে সম্মত।

তবে এখনো রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে এ বিষয়ে দেশের প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে— বলেন শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, যেখানে একটি বড় শক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কল্পিত অপপ্রচার। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচার চালানো হয়েছে, এটি তারই অংশ। এ ধরনের অপপ্রচার আমরা আগেও দেখেছি, এখনো চলছে।


জাতীয় এর আরও খবর