মারাত্মক যৌন বিকারগ্রস্ত ইসকন নেতা চিন্ময় নিয়মিত শিশু নিপীড়ন করতেন
শিশুদের যৌন নিপীড়নের দায়ে ২০২৩ সালে ইসকন নেতা ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর উপর সাময়িক বিধিনিষেধও দেয় যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইসকন ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড প্রটেকশন অফিস। এমন একটা চিঠি একুশে টেলিভিশনে হাতে এসেছে।
ওই চিঠি থেকে জানা গেছে, ইসকন নেতা ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী একজন ‘যৌন বিকারগ্রস্ত’ মানুষ। পুণ্ডরীক ধামের ছেলেশিশুদের তিনি নানাভাবে যৌনি নিপীড়ন করেন।
এছাড়া সম্প্রতি একুশে টেলিভিশনের হাতে এমন কিছু ভিডিও ফুটেজ এসেছে। যাতে দেখা যায়, শিশু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চিন্ময় ব্রহ্মচারীর অন্তরঙ্গ কিছু দৃশ্য।
জানা গেছে, এসব শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় নানা ছলে রুমে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন চিন্ময় ব্রহ্মচারী।
এদিকে ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর ইস্যু করা ইসকন ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড প্রটেকশন অফিসের ওই চিঠিতে শিশু নিপীড়নের অপরাধে তার উপর সাময়িক বিধিনিষেধের পাশাপাশি কিছু সময়ের জন্য ধর্মীয় কীর্তন করতেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। তাকে শিক্ষাদানেও বিরত থাকতে বলা হয়।
ইসকন ও চিন্ময় ব্রহ্মচারীর অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি একুশে টেলিভিশন বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর ফলে ক্ষিপ্ত হন চিন্ময় ব্রহ্মচারীর সমর্থক গোষ্ঠী। তারা একশে টেলিভিশনকে হলুদ মিডিয়া বলে অভিহিত করেন।
অন্যদিকে গত ৫ আগস্টের পর নানা কর্মকাণ্ডে ইসকনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি নানা অনিয়ম আর অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন ইসকনের বিরুদ্ধে। তিনি ইসকনের দেশবিরোধী তৎপরতা নিয়ে অভিযোগ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হন ইসকন নেতা চিন্ময় ব্রহ্মচারী ও ইসকন সমর্থকরা। মাহমুদুর রহমানের ওই বক্তব্য প্রত্যাহার ও তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চোইতে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন চিন্ময় ব্রহ্মচারী। তবে এরপর ওই বিষয়ে চিন্ময় ব্রহ্মচারী ও ইসকনের কাউকে আর কথা বলতে শোনা যায়নি।