img

জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, প্রতিটি শিশুকে টিকা দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৯:৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, প্রতিটি শিশুকে টিকা দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেছেন, ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ আমরা প্রতিরোধ করেছি। কিন্তু টাইফয়েডে এখনো দেশের শিশু মারা যায়, অঙ্গহানি হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য লজ্জার। তবে আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি, সফল হবো। আর জন্ম সনদ থাকুক না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নূরজাহান বেগম বলেন, ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। অথচ আজও আমাদের দেশের শিশুরা টাইফয়েডে মারা যায়, কেউ কেউ স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, কারণ টাইফয়েড কোনো জটিল বা অজানা রোগ নয়— এটি পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি, আমি বিশ্বাস করি, আমরা এবারও সফল হবো।

তিনি আরও বলেন, টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা অল্প বয়সী শিশুদের জীবন বিপন্ন করে। অথচ পরিবারগুলো এর গুরুত্ব বোঝে না, এমনকি অনেকেই জানে না যে টাইফয়েডের টিকা এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। এটা আমাদের যোগাযোগের ঘাটতি। টিকা নিয়ে মানুষ যেন ভয় বা বিভ্রান্তিতে না থাকে, সেই প্রচারণা বাড়াতে হবে। স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার—সব জায়গায় বার্তা পৌঁছাতে হবে।

জনসচেতনতা তৈরিতে সমাজের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু সরকারের কাজ নয়। ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মী— সবার অংশগ্রহণ দরকার। মিডিয়াও এই কাজের বড় সহযোদ্ধা। স্বাস্থ্য খাত একা সফল হতে পারে না, সামাজিক সহযোগিতাই আমাদের মূল শক্তি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করা। কেউ যেন বাদ না যায়। কারণ, একটি শিশু বাদ পড়া মানে একটি পরিবার ঝুঁকিতে থাকা। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, কোনো অজুহাতে শিশুকে বাদ দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক ঘরের কাজের মানুষ, বস্তির শিশুরাও এই টিকার আওতায় আসতে হবে।

তিনি টিকাদান কার্যক্রমে প্রশাসনিক জটিলতা না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, টাইফয়েডের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন যেন কষ্টকর না হয়। সবার জন্য এটি সহজ, বিনামূল্যে এবং গ্রহণযোগ্য রাখতে হবে। আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে— এটা বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হচ্ছে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও অচিরেই এই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসবে বলে আশা করছি। এজন্য আমাদের সক্ষম জনবল তৈরি করতে হবে। মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের এই টিকাদানে যুক্ত করা হলে মাঠপর্যায়ে কাজ আরও গতিশীল হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসচিব মো. সাইদুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য দেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া, ইউনিসেফের প্রতিনিধিত্বকারী দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজেশ নরওয়ানসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

জাতীয় এর আরও খবর

img

কমলগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত :  ১০:১৬, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. শাওন আহমেদ কোকিল (২২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গত সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের চৈত্রঘাট নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাওন আহমেদ কোকিল কমলগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর আলেপুর গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে উত্তর আলেপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের চৈত্রঘাট বাজারের ধলাই ব্রিজ এলাকায় একটি টাটা পিক আপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল থেকে স্বজনরা নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এই বিষয়ে কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


জাতীয় এর আরও খবর