img

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত :  ১৪:২৬, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৩৫, ২১ অক্টোবর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ নিরপেক্ষভাবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য এই মুহূর্ত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নিতে হবে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে ভূমিকা সেই ভূমিকায় তাদেরকে যেতে হবে। সেজন্য প্রথমেই যে বিষয়টির প্রয়োজন হবে তা হচ্ছে, প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ করতে হবে। যাতে জনগণের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি হয়।

তিনি বলেন, সচিবালয়ে যারা এখনও আছেন যাদেরকে চিহ্নিত ফ্যাসিস্টদের দোসর বলা হয় তাদেরকে সরিয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি। জেলা প্রশাসনেও একইভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা মনে করি যে তারা এখনও সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের স্বার্থ পূরণ করছে। সেজন্য তাদেরকে অপসারণের কথা আমরা বলেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যে সমস্ত পদে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হবে বা যাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হবে সেই ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। পাশাপাশি আমরা বলেছি যে, বিচার বিভাগে বিশেষ করে উচ্চ আদালতে এখনও যে সমস্ত ফ্যাসিস্টদের দোসর আছেন তাদেরকে সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এটা বিচার বিভাগের ব্যাপার। তারপরেও প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সব সবকিছুর দায়িত্বে আছেন তার কাছে আমরা আমাদের সেই দাবিগুলো জানিয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার কথাও আমরা বলেছি। সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন তাকে অপসারণ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। এটাই ছিল প্রধান মূল কথা।

কোনো উপদেষ্টার বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব এই বিষয়ে ‘না’ সূচক জবাব দেন।

এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। রাত ৭টা ১১ মিনিটে তারা যমুনা থেকে বেরিয়ে আসেন।


জাতীয় এর আরও খবর

img

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হয়েছে কি না, জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ১৪:১৫, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০টি প্রকল্প ও চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে শুধু একটি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘যে তালিকাটি এসেছে, সম্ভবত একজন উপদেষ্টা তা প্রচার করেছেন। হয়তো এটা তিনি না করলেও পারতেন। তবে যে তালিকা সেখানে এসেছে, সেটি সঠিক নয়। এর অধিকাংশ চুক্তিই বাস্তবে নেই। শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে, সেটি হলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগবোট সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি।’

তবে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি বাতিল হয়েছে, বাকিগুলোও বিবেচনাধীন।

তিনি ভারতের সঙ্গে বাতিল ও বিবেচনাধীন চুক্তি/প্রকল্পগুলোর একটি তালিকাও প্রকাশ করেন।

বাতিল হওয়া চুক্তি ও প্রকল্পের তালিকায় তিনি ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প, অভয়পুর-আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ, আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বন্দরের ব্যবহার সংক্রান্ত সড়ক ও নৌপথ উন্নয়ন চুক্তি, ফারাক্কাবাদ সংক্রান্ত প্রকল্পে বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতা প্রস্তাব, সিলেট-শিলচর সংযোগ প্রকল্প, পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ চুক্তি, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল (মিরসরাই ও মোংলা আইইজেড) এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা কম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগ বোট চুক্তির কথা।


জাতীয় এর আরও খবর