img

ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত, প্রকাশ সোমবার : ইসি সচিব

প্রকাশিত :  ১৫:১৫, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত, প্রকাশ সোমবার : ইসি সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। ছয় দিন পেরোলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। কিছু সংশোধনের প্রস্তাব এসেছিল সেটাও করা হয়েছে। কাল (সোমবার) সকালে ব্রিফ করে দেব।’

ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অগ্রগতি কতদূর, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘সবকিছু ১০০ শতাংশ করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিছু জায়গায় অ্যাডজাস্টমেন্ট, কিছু বিষয় আগেই কমপ্লিট করেছি, কিছু বিষয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে এবং কিছু বিষয়ে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে।’

সচিব আখতার বলেন, ‘সবকিছুই নিক্তিতে মেপে সময় অনুযায়ী, দিনক্ষণ-তারিখ অনুযায়ী করা সম্ভব নয়। এই অ্যাডজাস্টমেন্ট আমাদের রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার মতো কোনো কারণ বা পরিস্থিতি আমার মনে হয় না হয়েছে।’

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কবে শেষ হবে, এ নিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘দল নিবন্ধনের বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে মাঠপর্যায় থেকে কিছু বাড়তি তথ্য আসেছে। এটা পর্যালোচনা চলছে। এ সপ্তাহের ভেতরে করে দেব। কারণ, আমাদেরও একটা দায় আছে। আমাদের দিক থেকে তাগিদ আছে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতীকের বিষয়টি আমরা পরে জানাব।’

গতকাল শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণে নির্বাচন ভবনের দক্ষিণ পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইসি মামলা করবে কি না, জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। এটা বাইরে ফেটেছে। ইসিকে যদি মামলা করতে হয়, করব।’

কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এছাড়া প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন, প্রযুক্তির অপব্যবহারি, নির্বাচনকালীন সমযে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’


জাতীয় এর আরও খবর

img

নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যা মামলার চার্জশিট জমা শিগগিরই: র‍্যাব

প্রকাশিত :  ০৮:১৫, ০১ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:১৮, ০১ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। 

এর আগে গত ১ অক্টোবর র‌্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুড়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ত্বকী হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহ্ আল মামুন (৪০) নামে আরও এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গত সেপ্টেম্বরে প্রায় ২২দিন ত্বকী হত্যা মামলার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক মো. জামশেদসহ ৬ ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এর মধ্যে আজমেরী ওসমানের সহযোগী কাজল হাওলাদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। 

অন্য দুই আসামি শাফায়েত হোসেন (শিপন) ও মামুন মিয়াকে দুই দফায় ৯ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গাড়িচালক জামশেদকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইয়ার মোহাম্মদ কারাগারে আছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকালে শহরের কালীরবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ লেভেল পরীক্ষায় রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় বিশ্বের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া মেধাবী ছাত্র ছিলেন ত্বকী।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নির্দেশে ত্বকীকে অপহরণের পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। শামীমের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের টর্চার সেলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন আসামিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। কারা কীভাবে ত্বকীকে খুন করেছে তা আসামি শওকত সুলতানের আদালতে দেওয়া স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব বহু আলামত উদ্ধার করে। 

জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে ১১ জন অংশ নেওয়ার কথা জানানো হয়। এতে শামীম ওসমান পরিবার জড়িত থাকায় তাদের রক্ষা করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মামলার তদন্ত কাজ স্থগিত হয়ে যায়।

রফিউর রাব্বি বলেন, গত ১২ বছরের মধ্যে সাড়ে ১১ বছর ছিলো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসন। অন্তর্বর্তী সরকার এই হত্যার বিচার করতে চায়। তবে সেই বিচার সম্পন্ন করতে হলে প্রয়োজন একটি নির্ভুল অভিযোগপত্র। নির্দেশদাতা শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, শাহ নিজামসহ যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের সবাইকে অভিযোগপত্রে যুক্ত করার দাবি করেন তিনি। 


জাতীয় এর আরও খবর