img

চট্টগ্রামে ব্যানার টানানো নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল যুবদলকর্মীর

প্রকাশিত :  ০৫:২৯, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৪১, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামে ব্যানার টানানো নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল যুবদলকর্মীর

চট্টগ্রাম নগরীতে সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিযুক্ত ব্যানার টানানো নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাজ্জাদ (২২) নামে যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে থানার এক্সেস রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে মেয়রের ছবিযুক্ত একটি ব্যানার সরানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং কয়েকজন আহত হন।

যদিও স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা–সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ব্যানার টানানো নিয়ে বিরোধ আরও তীব্র হয়। সোমবার রাতে ব্যানার সরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মিনহাজুল ইসলাম নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে দেখি কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চমেক হাসপাতালে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় দিয়ে জিএম সালাউদ্দিন আসাদ নামে একজন বলেন, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়েছিল। মেয়রের লোকেরা তা খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা ব্যানার খুলতে যায়। তখন তাদের তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। এতে সাজ্জাদ মারা যায়।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা এমদাদুল বাদশা বলেন, হামলাকারীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারা বিএনপির কেউ নয়, আগে যুবলীগ করত। ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বুকে গুলির আঘাত ছিল। গুলিবিদ্ধসহ আরও আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাতীয় এর আরও খবর

img

জামালপুরে নদীতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

প্রকাশিত :  ১৮:০০, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই ও বোনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই শিশু।

মৃতরা হলো- চর ভাটিয়ানি গ্রামের প্রবাসী দুদু মিয়ার মেয়ে মরিয়ম (১১) ও ছেলে সাঈদ (৭) এবং একই এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা (১০)। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে একই এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুমসহ দুইজন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকালে শিশুরা খেলাধুলা শেষে পার্শ্ববর্তী ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামলে প্রথমে একজন তলিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজতে গিয়ে অন্য দুজন পানিতে ডুবে মারা যায়।

এলাকাবাসী জানান, তিনজনের লাশ জড়াজড়ি করা অবস্থায় ছিল। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজ চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রিপন মিয়া জানান, নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধার কাজ চলমান আছে। তবে আলোর স্বল্পতার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, খেলাধুলা শেষে সন্ধ্যায় যমুনার শাখা ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামলে তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিন শিশুর লাশ উদ্ধারসহ দুই শিশুর নিখোঁজ থাকার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


জাতীয় এর আরও খবর