img

নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে ছিলেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ

প্রকাশিত :  ০৫:৫০, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৫৭, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়ে ছিলেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ

গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মো. মহিবুল্লাহ মিয়াজীর চাঞ্চল্যকর নিখোঁজের পেছনের আসল ঘটনা জানা গেছে। তাকে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে তাকে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। তার নিখোঁজের পেছনের আসল ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন।

গত রাত ১২টার দিকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরী ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভ চলাকালে ফোনে মুহিব্বুল্লাহর মেয়েকে সংযুক্ত করা হয়।

সেখানে মেয়েটি জানান, তার বড় ভাই ফোনে জানিয়েছে— তাদের বাবা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সব কিছু তিনি নিজের ইচ্ছায় করেছেন।

এরপর রাত আড়াইটার দিকে বিক্রমপুরী আবার লাইভে আসেন। সে সময় তার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পুলিশ তাকে জানায়, তিনি চাইলে মসজিদের ভেতরে যেতে পারেন, তবে তার সঙ্গে সর্বোচ্চ একজন মুরিদ যেতে পারবেন।

কিন্তু বিক্রমপুরী সেই শর্তে ভেতরে যেতে রাজি হননি। ঠিক তখনই তার মোবাইলে ফোন আসে মুফতি মুহিব্বুল্লাহর ছোট ছেলের কাছ থেকে, তিনিও একজন আলেম।

ফোনে মুহিব্বুল্লাহ নিজেই কথা বলেন এবং জানান, “আমি নিজেই সব করেছি। নিজের পরিকল্পনায় পঞ্চগড়ে গিয়েছি, গুম হওয়ার অভিনয় করেছি, ঘটনাটি ভাইরাল করেছি। তাই তোমরা আর এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।”

মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী সামাজিক মাধ্যমে মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী নামেই বেশি পরিচিত।

তিনি এর আগে দাবি করেছিলেন, গত ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এক্সিস লিংক সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টারের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেওয়া হয়। পরদিন পঞ্চগড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের কথাও নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেছিলেন, অপহরণের আগে টানা কয়েকদিন একের পর এক উড়ো চিঠির মাধ্যমে হুমকি পেয়েছিলেন এবং অপহরণের পর একটি পুরো দিন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন।


জাতীয় এর আরও খবর

img

জামালপুরে নদীতে ডুবে ভাই-বোনসহ ৩ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ২

প্রকাশিত :  ১৮:০০, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই ও বোনসহ তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই শিশু।

মৃতরা হলো- চর ভাটিয়ানি গ্রামের প্রবাসী দুদু মিয়ার মেয়ে মরিয়ম (১১) ও ছেলে সাঈদ (৭) এবং একই এলাকার নুর ইসলামের মেয়ে সাইবা (১০)। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে একই এলাকার আজাদ মিয়ার মেয়ে কুলসুমসহ দুইজন।

জানা গেছে, আজ শুক্রবার বিকালে শিশুরা খেলাধুলা শেষে পার্শ্ববর্তী ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামলে প্রথমে একজন তলিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজতে গিয়ে অন্য দুজন পানিতে ডুবে মারা যায়।

এলাকাবাসী জানান, তিনজনের লাশ জড়াজড়ি করা অবস্থায় ছিল। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজ চলছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রিপন মিয়া জানান, নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধার কাজ চলমান আছে। তবে আলোর স্বল্পতার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ সাইফ জানান, খেলাধুলা শেষে সন্ধ্যায় যমুনার শাখা ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নামলে তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিন শিশুর লাশ উদ্ধারসহ দুই শিশুর নিখোঁজ থাকার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


জাতীয় এর আরও খবর