img

ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে কী করব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশিত :  ০৮:৪৭, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে কী করব : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গ জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এক সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে । এর পর থেকে এই ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গে প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হচ্ছে উপদেষ্টাদের। উপদেষ্টাদের কেউ কেউ নাহিদ ইসলাম এই বক্তব্য স্পষ্ট করার আহ্বান জানান। তবে এবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমার ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে।

আজ রবিবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘আপনিও সেফ এক্সিট চান কি না?’ সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘কে কী চান সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমার ছেলে মেয়ে সবাই দেশে। আমি দেশের বাইরে যাব কেন।

আমি একা সেফ এক্সিট নিয়ে কী করব? বিদেশে কার কাছে যাব।’

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন লোকদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর জন্য সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।

ফ্যাসিবাদের সময় গুম, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সেনা হেফাজতে রেখেই বিচারকার্য করার কথা উঠছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনে যেটা আছে সেটাই করা হবে।’

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসিদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলও জানান তিনি।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল যেটা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

img

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শুরু

প্রকাশিত :  ০৬:০৩, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:০৯, ২১ অক্টোবর ২০২৫

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় আপিলের ওপর শুনানি শুরু করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মামলাটির শুনানি শুরু হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ এ রিট খারিজ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করা হয়। মামলাটিতে আদালত আটজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ করে তাদের মতামত শোনেন। এদের মধ্যে পাঁচজন- ড. কামাল হোসেন, টিএইচ খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন।
অন্যদিকে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি এ ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে মত দেন। ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক ও ড. এম জহির তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে আদালতে তাদের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন।

সবশেষে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এরই মধ্যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়।

জাতীয় এর আরও খবর